নীলছবির নেশা ভয়াবহ ক্ষতি করে মানসিকতার। এদিকে করোনা মহামারীর সময় লকডাউনে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের পড়াশোনার জন্য মিলেছে যথেচ্ছ মোবাইল ব্যবহারের অনুমতি এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও। আর এতেই কোন কোন ছাত্রের আসক্তি হয়েছে ভয়াবহ। কেউ বা হয়েছে অনলাইন গেম এ আসক্ত কেউ বা নীল ছবির নেশায়। এবার আবারো এমন একটি মর্মান্তিক খবর সামনে এলো। লকডাউনে দেখেছে দেদার পর্ন। আর এই পর্ন ছবির নেশা প্রভাব ফেলেছে মানসিক স্বাস্থ্যে। পর্নছবির আসক্তি থেকে যৌন লালসার কারণে মিশনারি স্কুলের হোস্টেলে এক নাবালক ছাত্র আরেক নাবালক ছাত্রের উপর যৌননিগ্রহ চালায়। রীতিমতো শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত নিগৃহীত নাবালক ছাত্র। এই ঘটনায় অভিযোগ যে নাবালক ছাত্রের বিরুদ্ধে তাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে পুলিশের কাছে সে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে পর্নের নেশাতেই সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
গত সপ্তাহে এই ‘ভয়াবহ’ ঘটনাটি ঘটেছে উস্তিতে। রাতে ভয়াবহ জখম এবং বিধ্বস্ত অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রকে হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করেন শিক্ষকরা। দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ইমারজেন্সিতে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। এখন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই জখম ছাত্র। তার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ছাত্রটির গলা এবং গোপনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
স্কুলের হোস্টেলে এই জাতীয় নিগ্রহের ঘটনার তদন্তে নেমে অষ্টম শ্রেণির আরেক নাবালক ছাত্রকে আটক করে পুলিস। সোমবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত ছাত্রকে জেরা করলে, সে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। SDPO মিতুন দে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, তাঁর কাছে নিজের কৃতকর্মের অপরাধ স্বীকার করেছে অভিযুক্ত নাবালক। নিজের স্বীকারোক্তিতে সে জানিয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালক ছাত্রের উপর যৌন নিগ্রহ চালিয়েছে সে। লকডাউনের সময়ে অতিরিক্ত পর্ন ভিডিওর আসক্তি থেকেই এমন কাজে লিপ্ত হয়েছে সে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছাত্রকে জুভেনাইল কোর্টে পেশ করা হবে। এরপরে তাকে হোমে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত নীলছবির নেশাই তার কিশোর মনে এমন প্রভাব ফেলেছে যার থেকে সে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।