পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। বর্তমান আধুনিক সময়ে নারী পুরুষ একে ওপরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাইরের দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও এই বিষয়টাও ঠিক যে আজও আমাদের সমাজে ঘর গৃহস্থালির বেশিরভাগ কাজই নারীরাই করে এবং এতে পুরুষের অবদান যথেষ্ট কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়ির সব কাজ কর্মের দায়িত্ত্ব এক মহিলাকেই নিতে হয়। এক ব্যক্তি তার বাগদত্তা এক মহিলার সাথে একই কাজ করছিলেন, যার পরে ওই মহিলা মাথা খাটিয়ে এমন প্রতিশোধ নেন যে তার বাগদত্তা সেই ঘটনার ৮ বছর পরেও আজও ঘরের কাজ করে।
গ্রাজিয়ার (Grazia) রিপোর্ট অনুসারে, একজন মহিলা তার বাগদত্তার সাথে বসবাসের জন্য একটি নতুন বাড়িতে শিফট করে। নতুন বাড়িতে আসার কিছুদিনের মধ্যেই সে টের পায় যে তার বাগদত্তা একেবারেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নয় এবং ঘরের মধ্যে যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে রাখে। এদিকে ওই মহিলা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে খুবই পছন্দ করতো। কিন্তু তার হবু স্বামী এই বিষয়ে একবারেই গা করতো না। তাই সে মাথা খাটিয়ে একটি উপায় বার করে।
রেডিটে তার কাহিনী বর্ণনা করার সময়, মহিলা লিখেছেন যে তার এই বিষয়টা অসহ্য হয়ে উঠতে শুরু করে যখন তার হবু স্বামী তার সাথে বাড়িতে শিফট করে যায়, এদিকে মায়ের বাচ্চা ছেলের মত হওয়ার ভান করে। সে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে একেবারেই রাজি নয় এদিকে যত্রতত্র আবর্জনা ছড়িয়ে বেড়ায়। তিনি এই নিয়ে তার স্বামীর সাথে কথা বললে দীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক হয় এবং অবশেষে একটি বিষয়ে একমত হয় যে তারা বাড়ির মধ্যে নিজেদের নিজেদের বাউন্ডারি ভাগ করে নেবে এবং নিজেদের ইচ্ছামত জীবনযাপন করবে। এর ভাবেই জানা যাবে কে আবর্জনা ছড়ায় আর কে পরিষ্কার করে?
চুক্তির পরে, পুরো বাড়িটি একটি মাস্কিং টেপ দিয়ে ভাগ করা হয়েছিল। ঘরের ভেতর যে যার বাউন্ডারি নির্ধারণ করে নেয় এবং যে যার দিক পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নেয়। এইভাবে আলাদাভাবে বসবাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিছুদিনের মধ্যেই মহিলার বাগদত্তার অংশে বসবাস দায় হয়ে দাঁড়ালো। একমাস ধরে তিনি বাথরুম ও টয়লেট ছাড়া আর কিছুই পরিষ্কার করেন নি। অবশেষে তার হাল এমন হলো যে সে নিজের ভুল বুঝতে পারলো এবং চুক্তির শেষে, বাগদত্তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিল। সে তার হবু স্ত্রীকে কথা দেয় যে সে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করতে তাঁকে সাহায্য করবে এবং যত্রতত্র নোংরা ছড়াবে না। এই শিক্ষা দিনে আট বছর পার করেও ভোলেননি।