করোনা সংক্রমণের কারণে জীবন জেরবার হয়ে উঠেছিল মানুষের, দিনের পর দিন মানুষ ঘর বন্দি থাকতে থাকতে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল বছর দুই আগে।
এরপর পরিস্থিতি খানিকটা সামাল দিতে পারলেও চিকিৎসা ব্যবস্থায় সেভাবে কোনও উন্নতি আনতে না পারার ফল ভুগেছিলো দেশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেল্টায় গোটা বিশ্ব তথা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।
মৃত্যু যেন প্রতিটি এলাকায় ঘটেছিলো।
করোনা টিকাকরণে জোর দেওয়া আর করোনা বিধিনিষেধের কারণে বেশ অনেকটা সামলে নিয়েও তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ আটকাতে পারেনি, ওমিক্রন আক্রান্ত হু হু করে বেড়েছিল মাস দুয়েক এই নতুন বছরে। যদিও মৃত্যুহার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল দেশ।
আর সম্পূর্ণ টিকাকরণ এর কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিল দেশ। এবার এই তৃতীয় ঢেউয়ের নিয়ন্ত্রণের সাফল্যের মাঝেই এক কথায় বলা যায় চতুর্থ ঢেউয়ের আগমন হচ্ছে।
যদিও চুতুর্থ ঢেউ আসার আগেই করোনা সংক্রমণের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে গেলো দেশ। বেশ অনেকটাই কমলো করোনা সংক্রমণ। বেশ কিছু দিনের মতোই মৃত্যুহার কিন্তু আবারও উর্দ্ধমুখী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিস্থিতি অনুযায়ী, দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৫৯ জন, যা গতকালের নিরিখে খানিকটা কম। একদিনে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মৃতের সংখ্যা ছিল ৩১। আর ১৭০৫ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ৯৮.৭৫ শতাংশ সুস্থতার হার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে কোভিডের (COVID-19) বলি এ নিয়ে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭০, শতকরা হিসেবে ১.২১ শতাংশ। অ্যাকটিভ কেস কমে ১৫ হাজার ৩৭৮ এ দাঁড়িয়েছে, যা ০.০৪ শতাংশ মাত্র মোট আক্রান্তের। বিশ্বে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪৮২ মিলিয়ন ব্যক্তি। গোটাবিশ্বে জোরকদমে শুরু হয়েছে কোরোনাটিকা, এই মহামারীর কবল থেকে বাঁচতে। টিকাকরণ ভারতেও চলছে। ১৮৩ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯০ হাজারের বেশি ডোজ ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। ভারতে সমস্ত কোভিডবিধি উঠে গিয়েছে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়।
চীন সহ এশিয়ার কিছু দেশ এবং ইউরোপের দেশ গুলিতে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিজের ত্রাস সৃষ্টি করে ফেলেছে।