করোনা মহামারী বিশ্বজুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে দিয়েছে বিগত বছর দুই ধরে। তার উপরে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই করোনার চতুর্থ ঢেউ আসতে চলেছে। আর করোনার এই চতুর্থ ঢেউ রুখে দিতে আগাম সতর্কতা জারি করেছে চীন। যদিও চীনের রাজধানী বেজিং আর আসে পাশের বাকি শহরেও করোনার বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী মাস দেরেকের মধ্যেই ভারতেও আছড়ে পড়বে করোনার চতুর্থ ঢেউ এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তবে চতুর্থ ঢেউ আসার আগেই করোনার বর্তমানে পরিসংখ্যান যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত ১৫৪৯ জন গত ২৪ ঘণ্টায়। ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে যে খুব বেশি ছিল, তা নয়। দৈনিক করোনা পজিটিভের সংখ্যা সতেরশোর সামান্য বেশি ছিল। কিন্তু মৃতের সংখ্যা ১০০ এর বেশি ছিল। মৃত্যু সংখ্যা অনেকটাই কমেছে সোমবারের পরিসংখ্যানে। মহামারী প্রাণ কেড়েছে ৩১ জনের গত ২৪ ঘণ্টায়। অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও কমেছে। যা এই মুহূর্তে ২৫,১০৬।
গত সপ্তাহ থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে দেশে চালু হয়েছে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সিদের টিকাকরণ (Corona vaccine)। আর বাংলায় আজ থেকেই শুরু হল ছোটদের টিকাকরণ।
তাদের ‘কর্বেভ্যাক্স’ (Corbevax)ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ‘কর্বেভ্যাক্স’ রাজ্যে পৌঁছেছে। সময়ের ব্যবধানও কমেছে এদিকে, ছোটদের দু’ডোজ টিকার মাঝে। দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমা ছিল এতদিন প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ পর। তবে রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, কমে ৮ সপ্তাহ করা হয়েছে এই ব্যবধান ।
নতুন করে একাধিক দেশ মহামারীর দাপটে বিধ্বস্ত। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে শুধু চিন, দক্ষিণ কোরিয়া নয় এছাড়াও আমেরিকা, ইউরোপের একাধিক জায়গায়। যদিও সেই সংক্রমণের হার কড়া বিধিনিষেধের মধ্যে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। ভারতের কোভিড গ্রাফ সেদিক থেকে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক বলে মনে করা হচ্ছে।