মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলায় লাভ জিহাদের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। চার বছর ধরে মেলামেশা আর শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পর এক হিন্দু মেয়েকে ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা ওই তরুণী থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পরেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। বৃহস্পতিবার, সাতনার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী এক নির্যাতিতা এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ওই তরুণী জানান, বিকেলে তার বাড়িতে ঢুকে এক যুবক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদত্ত অভিযুক্ত যুবকের ঠিকানা থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুবকটি মুসলিম এবং মেয়েটি হিন্দু সমাজের বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তের বয়স ২৫ বছর। নিজের নাম বিক্রম বলে প্রেমের ছলে হিন্দু তরুণীর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে সে। এরপর তরুণীকে নিয়ে যায় ওই যুবক। এর পর মন্দিরের কাছে একটি রুম ভাড়া নেন বিক্রম। দুজনেই এই ঘরে একসাথে লিভ ইন রিলেশনশিপে থাকা শুরু করে।
এই ভাড়া ঘরে মেয়েটির সাথে বহুবার শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও করে ওই যুবক। টানা ৪ বছর এই সম্পর্ক চলছিল। মেয়েটি বিক্রমকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে এক দিন তার খুঁটিনাটি ফাঁস হয়ে যায়। জানা গেছে, যুবকের আসল নাম ফইজান কুরেশি। এরপর তিনি মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথাও বলেন কিন্তু মেয়েটি তা মানেনি।
এই বিষয়ে, পুলিশ অভিযুক্ত যুবক, বিক্রম ওরফে ফাইজান কুরেশির বিরুদ্ধে IPC-এর 376 এবং 506 ধারা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের (2021) ধারা 3 এবং 5-এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে।
এর প্রায় মাস খানেক আগেও মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলায় লাভ জিহাদের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে এক মুসলিম যুবক একটি হিন্দু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালে অভিযুক্তরা বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। উমারিয়া জেলার হিন্দু সংগঠনগুলো এই ঘটনার বিরুদ্ধে উত্তেজিত হয়ে কালেক্টরকে স্মারকলিপি দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল সেই সময়।