বিহারের রাজধানী পাটনা সংলগ্ন বারহ এলাকায়, একটি ছেলে তার বান্ধবীকে রাগ কমাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য নিয়েছিল। কিন্তু এই পদক্ষেপ তার জন্য মর্মান্তিক প্রমাণিত হল। রাগান্বিত প্রেমিকা রাজি না হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়াতেই চরম পদক্ষেপ নিল ছেলেটি। চাঞ্চল্যকর এই খবর সামনে আসার পরই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে বারহের আটমালগোলা থানা এলাকার অন্তর্গত রূপাস গ্রামে বসবাসকারী এক যুবক বুধবার গভীর রাতে নিজের রাতের খাওয়া সম্পূর্ন করার পরে তার ঘরে চলে গিয়েছিল। ঘরে যাওয়ার পর মোবাইল থেকে বান্ধবীকে ভিডিও কল করেন। দুজনে কিছুক্ষণ কথা বলতে থাকে। এরপর কোনো এক বিষয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। মেয়েটি রেগে গেলে প্রেমিক তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সে রাজি না হওয়ায় ভিডিও কলে লাইভে নিজের গলায় দড়ি দেওয়ার কথা বলে ওই যুবক।
প্রেমিকার তাও কিছুতেই না মার শেষ অবধি ভিডিও করতে করতেই দড়ি এনে ফাঁসটা গলায় পরে নেন ওই যুবক। এক ঘণ্টা ধরে চলা এই ভিডিও তে ওই যুবক ফাঁসির ভিডিও লাইভ করতে থাকে। সে গলায় দড়ি লাগিয়ে ভিডিও করছিল এমতাবস্থায় হঠাৎই তার হাত থেকে মোবাইল পড়ে যায় এবং ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি।
পুলিশ জানায়, যুবকটি তার হাত থেকে মোবাইলটি পরে গেলে সেটি নিচ থেকে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু একই সময়ে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত ফাঁসে টান পরে যায় এবং তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে ভিডিও কলে কথা বলা মেয়েটি যুবকের প্রতিবেশীকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। পরে প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে বিষয়টি জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা জানালা দিয়ে ওই যুবকের ঘরের দিকে তাকালে দেখতে পায় সে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান ভিডিও কলে লাইভে ভয় দেখাতে গিয়ে অসাবধানতায় তার ফাঁস লেগে টান পড়ে যায়। এবং সে মারা যায়।
মর্মান্তিক ঘটনায় আটমলগোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, পুরো বিষয়টি প্রেমঘটিত। পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।