উত্তরপ্রদেশের মিরাটে এক নাবালক বক্সিং খেলোয়াড়কে অপহরণের ঘটনা মিথ্যে বলে প্রমাণ হয়ে গেল। অপহরণের মিথ্যা গল্প তৈরি করেছিলেন তরুণী বক্সিং খেলোয়াড় নিজেই। কাহিনীটা ফাদতে তার প্রেমিক সহযোগিতা করেছিল। মীরাট পুলিশ তদন্তে নেমে এই তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা অপহরণের যে অভিযোগ পেয়েছিলেন সেটি সম্পূর্ন ভুয়ো। মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে এবং পরিবারের সদস্যদের চোখে ধুলো দিতে তাকে অপহরণের মিথ্যা গল্প তৈরি করেছে। পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের সাহায্যে বক্সিং খেলোয়াড় তরুণীকে উদ্ধার করেছে এবং তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে।
মেয়ের বাবা, পারতাপুরের কুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার তিনি সিভিল লাইন থানায় তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর ১৭ বছর বয়সী মেয়ে বক্সিং অনুশীলন করতে স্টেডিয়ামে আসছিল। সন্ধ্যায় তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া তিনি অভিযোগে লিখেছেন, দুর্বৃত্তদের সঙ্গে মারামারির সময় তার মেয়ে তার বোনকে ডেকেছিল। কিন্তু বেশি কথা হয়নি। এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।
বাবার অভিযোগে পুলিশ মামলা রুজু করে মেয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্যেই গোটা বিষয়টির তদন্ত করে সমাধান করে পুলিশ। মোবাইল নজরদারি এবং সিসিটিভির সাহায্যে, পুলিশ অপহরণের মিথ্যা পরিকল্পনাকারী মেয়েটি ও তার প্রেমিককে ধরে ফেলে। পুলিশ এখন এই অপরাধে জড়িত অন্যদের খুঁজছে। পুলিশ জানিয়েছে যে ১৭ বছর বয়সী মেয়েটি মিরাটের থানা সিভিল লাইন এলাকার কৈলাশ প্রকাশ স্পোর্টস স্টেডিয়ামে বক্সিং অনুশীলন করে।
এসপি সিটি বিনীত ভাটনগর জানিয়েছেন, আদিফের বাসিন্দা রশিদনগর জোগিওয়ালি গালিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অটোটিও উদ্ধার করা হয়েছে, যাতে বসে থাকা অবস্থায় দুজনেই পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, নথিভুক্ত মামলায় আদিফকে আসামি করে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত এখনো চলছে। কি কারণে অপহরণের মিথ্যা কাহিনী তৈরি হয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।