এমনিতে অনলাইনে প্রেমের ক্ষেত্রে অনেক অদ্ভুত ঘটনা সামনে আসে। অনেক সময় দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় ঘিরে এমনটা হয় যে যখন দুজনের প্রথম দেখা হয়, এমন অপ্রীতিকর ঘটনা সামনে আসে যা দেখে সবারই হুঁশ উড়ে যায়।
একই রকম অভিনব একটি ঘটনা আমেরিকা থেকে সামনে এসেছে যেখানে একটি মেয়ে প্রথমবার তার সাথে অনলাইনে পরিচয় হওয়া প্রেমিকের সাথে দেখা করে এবং তাকে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে বসে। ধরা পড়লে সে পুরো ঘটনা খুলে বলে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি তার দেশের জন্য প্রেমিক কে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন? তার প্রেমিকের কি দোষ? মেয়েটি এর যা ব্যাখ্যা দিয়েছে শুনলে আপনিও অবাক হতে বাধ্য।
আসলে ঘটনাটি ইরানি বংশোদ্ভূত এক মেয়ের। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মেয়েটি তার দেশের সামরিক কমান্ডার কাসিম সুলেমানির ভক্ত ছিল। কাসিম সুলেমানিকে ২০২০ সালে হত্যা করা হয়। অনেকেই সোলেইমানির মৃত্যুর জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছেন সেই সময়। এর পর এই মেয়েটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সে যেকোনো আমেরিকান নাগরিকের প্রাণ নেবে। এরপর মেয়েটি একটি পরিকল্পনা করে ডেটিং অ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট তৈরি করে।
মেয়েটি একজন আমেরিকান ব্যক্তির সাথে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন চ্যাট শুরু করে এবং তারা দুজনে দুজনের কাছাকাছি চলে আসে। অভিযুক্ত মেয়েটি আমেরিকান ছেলেটির সঙ্গে দেখা করতে তাঁকে হোটেলে ডেকেছিল। দুজনেই হোটেলে রুম বুক করে রেখেছিলেন। যেখানে যাওয়ার পর মেয়েটি ছেলেটির সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার অছিলায় ছেলেটিকে একা পেয়ে তার চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর সুযোগ পেয়েই প্রেমিকের গলায় ছুরি দিয়ে দুবার আঘাত করে। কিন্তু এরই মধ্যে ছেলেটি সতর্ক হয়ে কোনোমতে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে পুলিশে ফোন করে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং মেয়েটিকে ধরে ফেলে। মেয়েটি পুরো ঘটনাটি পুলিশকে বলেছিল এবং সে বলেছিল যে সে তার সামরিক কমান্ডারের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেজন্য সে মার্কিন নাগরিককে ফাঁসিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল। বর্তমানে আমেরিকার হেন্ডারসন পুলিশ এই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে।