এক মহিলা আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতের হামলা হয়েছে, আর এই ডাকাতি হয়েছে বেলেঘাটাতে। আর এই ঘটনায় পুলিশ ওই মহিলা আইনজীবীর স্বামী শুভাশিস দাশগুপ্তকে গ্রেফতার। ওই মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে হওয়া বধূ নির্যাতনের মামলার বদলা নিতেই নিজের শশুরবাড়িতেই ডাকাতির প্ল্যান করেছিল সে। আজ ওই অভিযুক্তকে শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয় গত পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটার সুরাহ ইস্ট রোডের বাসিন্দা মহিলা আইনজীবীর বাপের বাড়িতে ২১ জানুয়ারি ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। ওই মুহূর্তে মহিলার ভাই, মা এবং বাবা সেই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। ওই আইনজীবীর ভাই দুষ্কৃতীদের ডাকাতির সময় বাধা দেওয়ায় তাকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ডাকাতি হওয়ার খবর পাওয়া মাত্রই বেলেঘাটা থানার পুলিশ আধিকারিক এবং লালবাজারের গোয়েন্দারা ওই আইনজীবীর বাড়িতে যান। ওই বাড়িতে থাকা সিসিটিভি থেকে প্রাপ্ত ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখেই তদন্ত চলছিল।
তদন্ত শুরু করতেই ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জেরায় ওই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে পাওয়া যায় ওই মহিলা আইনজীবীর স্বামীর নাম। এর মধ্যেই শুভশিস কে খুঁজতে শুরু করেছে পুলিশ। শুভশিসের কাছে এই পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে সে লুকিয়ে যায়। কিন্তু আর শেষরক্ষা হল না। শেষমেশ পুলিশের কাছে ধরা পড়তে হল শুভশিস কে। পুলিশ জানিয়েছে শুভাশিস কোনও মতেই তার এই ডাকাতির সাথে যোগসূত্র মানতে চাইছে না।
সূত্রের খবর, শুভাশিসের সঙ্গে আইনজীবী কোয়েলের ২০০৭ সালে বিয়ে হয়। তবে মোটেও সুখের ছিল না দাম্পত্য। তাই আলাদাই থাকতেন তারা। মহিলা আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা করেন। আর সেই মামলার প্রতিশোধ নিতেই এই কান্ড ঘটিয়েছেন তিনি। ওই ব্যক্তি কসবার বাসিন্দা গুড্ডু নামে এক যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আগেও গুড্ডু পুরনো একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়। ১৬ কোটি টাকা রয়েছে মহিলা আইনজীবীর বাড়িতে বলে টোপ দেয়। ডাকাতি করার জন্য অগ্রিম লক্ষাধিক টাকাও দেয় শুভাশিস দুষ্কৃতীদের। সেই অনুযায়ী বিহারের একটি ডাকাত দলের সঙ্গে গুড্ডু যোগাযোগ করে। বেলেঘাটায় মহিলা আইনজীবীর বাপের বাড়িতে তারাই লুটপাট করে। তবে শুভাশিসকেও অপহরণের পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের প্রতিশ্রুতিমতো টাকা না দেওয়ায়। যদিও সে ছক বানচাল হয়ে যায় পুলিশের তৎপরতায়।