বিয়ের পর স্বামী, বা শ্বশুর শাশুড়ী ছাড়াও ননদ নন্দাই, জা ভাসুর নিয়ে শুরু হয় নববধূর জীবন। এই সম্পর্কগুলি সন্মানের। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন ঘটনা সামনে আসে যেখানে বিবাহিত মহিলাকে এদের থেকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায়, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছলে এক নববধূকে বাড়িতে ঢোকার আগেই শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। আর এই ঘটনার সূত্রপাত করেছে তার নন্দাই। কনে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়। কনের গয়নাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরই কনে নিজের হানিমুন না গিয়ে তার জায়গায় সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। যদিও অভিযোগ পুলিশ কনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ নথিভুক্ত করেনি। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনাটি দিদলি কোতয়ালী এলাকার একটি গ্রামের। নববধূ তার নন্দাই এর বিরুদ্ধে অর্থাৎ তার স্বামীর বোনের স্বামীর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। কনে জানায়, বিদায়ের পর শ্বশুরবাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছলে নন্দাই তাকে শ্লীলতাহানি করে। সে প্রতিবাদ করলে ননদ ও তাকে গালিগালাজ করে। সেই সঙ্গে তার কানের দুল ও গলার হার ছিনিয়ে নেয়। গোটা গ্রামে এখন এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
অমর উজালাতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, দিদোলী কোতয়ালী এলাকার একটি গ্রামে এক কৃষক পরিবার বসবাস করে। তার মেয়ের বিয়ে হয় ৬ মার্চ। কনেকে বিদায় করে দেওয়ার পর শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছানোর পর তার ননদ তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর নন্দাই কনেকে শ্লীলতাহানি করেন। এতে কনে আপত্তি জানালে নন্দাই ও তার ননদ তাকে মারধর করে। এসময় বধূর কানের দুল ও গলার হার ছিনিয়ে নেয় ননদ।
এ ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে কনের পরিবারের সদস্যরাও গ্রামে পৌঁছে যান। এরপর কনে তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিদলী কোতয়ালীতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করলেও পুলিশ রিপোর্ট নথিভুক্ত করেনি। এখন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন কনে। এসএইচও সুনীল মালিক জানিয়েছেন, কনের তাহরিরের ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।