সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্বের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে বেতুল থেকে। যেখানে ফেসবুকে বন্ধুত্বের পর দুই নাবালকের মধ্যের প্রেম তাদের একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে আসে। কিন্তু এর মাঝে প্রবল লালসা নাবালক কিশোরীকে হাসপাতালে এবং নাবালিকা কিশোরকে অবজারভেশন হোমে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বেতুল কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। যৌন মিলন করতে গিয়ে রক্তক্ষরণের পর কিশোরীকে নাগপুরে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত এরা দুজনেই নাবালক। মহারাষ্ট্রের বসবাসকারী এক নাবালক কিশোরীর (বয়স ১৭ বছর ৬ মাস) ফেসবুকে এক নাবালক কিশোরের (বয়স ১৭ বছর ১০ মাস) সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল। বন্ধুত্ব আস্তে আস্তে ভালোবাসায় গড়ায়। অতঃপর সেই ভালোবাসা তাদের দুজনকে আরও ঘনিষ্ঠ করে। মুলতাই থানা এলাকার একটি গ্রামে বসবাসকারী সেই নাবালক কিশোর ওই কিশোরকে মহারাষ্ট্রের সীমান্ত শহর প্রভাতপত্তনে ডেকে নিয়ে বেতুলে নিয়ে আসে। সেখানে সে মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করে। এরপর মেয়েটির অবস্থার অবনতি হয়। ঘটনা প্রকাশ্যে এলে তাকে নাগপুরে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, এবং কিশোরকে পুলিশ শিশু পর্যবেক্ষণ হোমে পাঠানো হয়েছে।
কোতোয়ালি টিআই রত্নাকর হিংওয়ের মতে, কিশোরটি ভোপালে পড়াশুনা করছেন। যদিও কিশোর সীমান্ত মহারাষ্ট্রীয় শহরের বাসিন্দা। ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় দুজনের। দুজনই একই সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে এই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। এরই মধ্যে কিশোর মেয়েটিকে কিছুটা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে বেতুলে ডেকে আনে। এখানকার একটি ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন শেষে খঞ্জনপুরে এক বন্ধুর ঘরে নিয়ে যান। এখানে দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় মেয়েটির অবস্থার অবনতি হয়। রক্তক্ষরণ শুরু হলে কিশোর তাকে প্রাইভেট চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলেও তারা এই কেসের চিকিৎসা করতে রাজি হননি। এরপর বাধ্য হয়ে জেলা হাসপাতালে আসতে হয়। যেখানে মেয়েটিকে ভর্তি করে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। তারা তাকে চিকিৎসার জন্য নাগপুরে নিয়ে গেছে। এখন পুলিশ 376, POCSO ধারার মামলা নথিভুক্ত করে কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে শিশু অবজারভেশন হোমে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে।