বাড়িতে বিয়ে করা বৌ রয়েছে। তাদের প্রায় বছর দশেকের বিবাহিত জীবন । কিন্তু এতকিছুর পরও বাংলাদেশের বরগুনার তালতলীর হাসান অন্য মহিলার সাথে বিবাহ বহির্ভুত প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। আর স্বভাবতই তার প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গেছিলেন সোমবার। আর ঠিক তখনই ওই এলাকার বাসিন্দারা ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন আর পুলিশের হাতে তুলে দেন। যদিও তার স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে এই ব্যাপারে কোনওরকম অভিযোগ করেননি পুলিশের কাছে। অথচ , থানায় পুলিশের হেফাজত থেকে তার স্বামীকে নিজেই ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। তারপর ওই মহিলা তার স্বামীকে, তার প্রেমিকার সাথে নিজেই বিয়ে দিয়ে দেন।
মোটরভ্যান চালক হাসান বরগুনার তালতলী উপজেলার বাসিন্দা। তিনি বছর দশেক আগেই বিয়ে করেছিলেন অজুফা বেগমকে। এমনকি সংসারও করছিলেন এই অজুফা বেগম এর সাথে। যদিও তাদের এখনও কোনও সন্তান হয়নি অর্থাৎ ১০ বছর পরও। আর ওই উপজেলার ফাতিমা আক্তার নামের এক মহিলার সঙ্গে এরই মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। আর তিনি বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন।
স্বামী হাসানের পুলিশের হেফাজতে থাকার খবর পেয়ে সেখানকার থানায় হাসানের স্ত্রী অজুফা বেগম আসেন। তারপর হাসান আর ফতিমাকে ছেড়ে দেওয়া হয় থানা থেকে। দুজনেই থানায় মুচলেকা দেওয়ায় ছাড়া পান। অজুফাই তাদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। তারপর হাসান আর ফতিমার বিয়ে দেন।
রফিকুল ইসলাম তালতলী থানার ওসি ( তদন্ত) বলেন, “হাসান ও তার প্রেমিকা ফাতিমাকে এলাকার লোকজন আটক করে পুলিশে খবর দেয়। তাঁদেরকে আমরা থানায় নিয়ে আসি। এরপরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় মুচলেকা নিয়ে। তারপর আমাদের জানা নেই যে আসলে কী হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তালতলী থানার সামনে তালতলী উপজেলার বড় অংকুজান পাড়ার হাসানের বিয়ের আয়োজন করা হয়। হাসান-ফাতিমার বিয়ে হয় পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে। একই সঙ্গে বিয়ের কাবিলনামা না থাকায় হাসান ও অজুফার, আড়াই লাখ টাকার ‘কাবিন’ করা হয় ওদের বিয়ের জন্য। ফতিমার সাথে যে হাসানের অনেক দিনের সম্পর্ক রয়েছে সে ব্যাপারে অজুফা সব জানতেন। অজুফা জানিয়েছেন , “ফতিমার সাথে আমার স্বামীর সম্পর্ক আছে জেনেও আমি কিছু করতে পারতাম না। শারীরিক সমস্যা রয়েছে। সেইজন্য আমাদের কোনওদিন সন্তান হবে না। হয়ত আমার স্বামী ফাতিমার সাথে এই কারণেই সম্পর্কে জড়িয়েছিল। তাই আমি হাসান ও ফাতিমার বিয়ে দিয়েছি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে।”