ব্যাঙের ছাতার মতন গজিয়ে ওঠা ম্যাসেজ পার্লার বা স্পা সেন্টারের আড়ালে দেহ ব্যবসার খবর সামনে আসে মাঝেমধ্যেই। জানা যায় নানা অনৈতিক এবং অবৈধ কাজকর্ম চলে এইভাবে ভুয়ো ব্যবসা ফেঁদে। আবারো এরকম একটি খবর সামনে এলো উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ থেকে। সেখানে একটি সেক্স র্যাকেট ফাঁস হয়েছে। বলা হচ্ছে, মেয়েদের বন্ধক করে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছিল। মেয়েদের মাদক জাতীয় কোনো ওষুধ খাইয়ে তারপর খদ্দেরদের কাছে পাঠানো হতো। এরই মধ্যে একটি মেয়ে কোনোভাবে এই গ্যাংয়ের খপ্পর থেকে পালিয়ে এসে পুলিশের কাছে পৌঁছে তার দুর্বিষহ অবস্থার কথা জানায়। চায় পুলিশের সাহায্য। মেয়েটি জানান অনৈতিক ভাবে আটকে রেখে তাদের দিয়ে যৌনব্যবসা চালানো হচ্ছে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অন্য মেয়েদের উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে এই সেক্স রাকেট ঘিরে উঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্র অনুযায়ী, লখনউয়ের গোমতী নগরে একটি ম্যাসাজ পার্লারে কাজ করতেন এক তরুণী। এখানে কর্মরত কয়েকজন ব্যক্তি ৬ মাস আগে তাকে ফোন করে এখানে চাকরির জন্য ডেকে পাঠান। চাকরি পাবেন ভেবে এখানে পৌঁছলে তাকে বন্দী করে একটি বাড়িতে আটক করে রাখা হয়। নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, সারাদেশ থেকে মেয়েদের এই পার্লারে ডেকে নিয়ে এসে বন্দী বানিয়ে জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো হয়।
৮টি মেয়েকে উদ্ধার করেছে পুলিশ
পুলিশ নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে গুরুত্ব সহকারে কাজ করে এবং ঘটনার তদন্তে নেমে ৬ জন যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং তারপর ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আরো ৮ জন মেয়েকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই চক্রের সাথে জড়িত অন্য সদস্যদেরও খোঁজ করা হচ্ছে।
অপরদিকে বিহারের গয়া থেকেও একটি হাইপ্রোফাইল সেক্স র্যাকেট ফাঁস হওয়ার খবর সামনে আসছে। পুলিশ এই ব্যবসার সাথে জড়িত ১৫ জন কে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বলা হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েদের ছবি পাঠানোর মাধ্যমে দেহ ব্যবসার চুক্তি প্রথমে সেরে ফেলা হতো। এর পর মেয়েদের পাঠানো হত। গয়া ছাড়াও পাটনা ও আশেপাশের জেলার বহু মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।