দুবাইয়ের (Dubai) পরে এবার তুরস্ক (Turkey) আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সামনা সামনি প্রকাশ্যে মডেলদের নগ্ন হয়ে ফটোশুটের করার কারণে তোলপাড় পরে গেলো তুরস্ক জুড়ে। রমজানের পবিত্র মাসে একটি মুসলিম দেশে এই ধরনের ঘটনা হতবাক করেছে গোটা তুরস্ককে। এই ঘটনা ঘিরে ইউক্রেনের ফটোশুট করায় অভিযুক্ত ছয় মডেলকে গ্রেফতার করেছে তুরস্কের প্রশাসন। আর তারপরই সেই সমস্ত মডেল কে দেশে ফেরতও পাঠানো হয়েছে।
কিছুদিন আগেই দুবাইয়ে একটি বিল্ডিংয়ের ব্যালকনি তে দাড়িয়ে নগ্ন হয়ে ফটোশুট করায় বিপাকে পড়েছিলেন ১২ জন মডেল। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। সেই একই কাণ্ড ঘটালেন এবারে ইউক্রেনের কয়েক জন মডেলরা। একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া হাউস সূত্রে খবর, দুবাইয়ের ওই ‘বাট স্কোয়াড’ (Butt Squad) ফটোশুট দেখেই এই তুরস্কের ফটোশুটটি করতে আগ্রহী হয়েছিলেন এই ইউক্রেনের মডেলরা। মডেলদের গ্রুপটি নিজেরাই একটি বিলাসবহুল বোট ভাড়া করে তাতে নগ্ন হয়ে ফটোশুট করেন। ওই মডেলদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের দুই পুরুষ সঙ্গীও। এই ফটোশুটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হতেই রাগে ফেটে পড়েন তুরস্কের জনতা। পবিত্র রমজান মাসে এই ভাবে সম্পূর্ন উলঙ্গ হয়ে ছবি তোলায় অনেকেই ওই মডেলদের সমালোচনায় মুখর হন। তুরস্কের বিভিন্ন সংবাদপত্রে এই ঘটনা প্রসঙ্গে লেখা হয়, লকডাউন পরিস্থিতি আর রমজানের পবিত্র মাসে এই ধরনের ফটো প্রকাশ্যে আসায় যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরেই ওই মডেলদের একেক জনকে আটক করা হয়।
তবে তাঁদেরই একজন এই প্রসঙ্গে স্পুটনিক নিউজকে জানান, তাঁরা সাধারণ মানুষের নজর এড়িয়েই ওই ফটোশুটটি করেছিলেন। এমনকী একটি ইয়ট নিয়ে দূরে সমুদ্রেও চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই এক ব্যক্তি অপর একটি নৌকা থেকে তাঁদের ছবি তোলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আর সেখান থেকেই সেগুলি ভাইরাল হয়েছে। আরেক মডেল বলেন, “দুবাইয়ের ঘটনার পর আমরা বুঝতে পেরেছিলাম মুসলিম প্রধান দেশে এভাবে ফটোশুট করা উচিত নয়। তাও ওই ভুলটিই করে ফেলেছি। অবশ্য তা থেকে চরম শিক্ষাও পেলাম। এই ঘটনা থেকে এটাও পরিষ্কার হল, তুরস্ক বা এই ধরনের মুসলিম প্রধান দেশে নগ্ন ফটোশুট করা যাবে না। করলেও তা গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।” জানা গিয়েছে, এই ছবিগুলি ভাইরাল হতেই ওই মডেলদের আটক করে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পরে যদিও তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।