Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

বাবার সাথে ছাড়াছাড়ির পর ১০ বছর ধরে কাকুর সঙ্গে থাকছিল মা! মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী ছেলে

বিয়ের পর থেকেই লেগেই থাকত দাম্পত্য বিবাদ। স্বামীর সাথে নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি চলতই। এই ভাবেই হয়ে গেছিল বিবাহ বিচ্ছেদ। তারপর থেকে ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। কাজও খুঁজতেন। কাজ খুঁজতে খুঁজতে কলকাতায় পেয়েও যান পরিচারিকার কাজ। পরিচারিকার কাজে যুক্ত হবার পর পরিচয় হয় তার এক ব্যক্তির সাথে। পরিচয় থেকে আলাপ, আলাপ থেকে ঘনিষ্ঠতা অতঃপর প্রেম। এই ভাবেই ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হয় তাদের সম্পর্ক। জানা গিয়েছে ক্যানিংয়ের মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিঠাখালি পশ্চিমপাড়া এলাকায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ঘরে ওই ব্যক্তির সাথে সহবাসেও ছিলেন মহিলা। কিন্তু যত সম্পর্ক এগোচ্ছিল আস্তে আস্তে সম্পর্কে আসছিল তিক্ততা। তাহলেও চলছিল একরকম। কিন্তু হঠাৎই ওই মহিলার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় ঘর থেকে। সাথে সাথে নিখোঁজ তার প্রেমিক ও। প্রেমের সম্পর্কের এমন মারাত্মক পরিণতি ঘিরে চাঞ্চল্য ক্যানিংয়ে। মৃত মহিলার নাম দীপিকা মুখোপাধ্যায়। বয়স আঠাশ বছর। খবরটি প্রকাশিত হয়েছে টিভি9 বাংলায়।

জানা গিয়েছে প্রায় ১২ বছর আগে দীপিকা মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে হয়েছিল বারুইপুরের নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সালেপুর অঞ্চলের বাসিন্দা শ্যামল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বিয়ের পরে তাদের একটি ছেলে হয়। কিন্তু শশুর বাড়িতে নানা অশান্তির কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ছোট্ট পুত্র সন্তানকে নিয়ে দীপিকা চলে আসেন বাপের বাড়িতে। এই ঘটনা প্রায় ১০ বছর আগের। স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ছেলেকে বড় করার জন্য কলকাতায় পরিচারিকার কাজ খুজেঁ নেন ওই মহিলা।

রাজারহাট নিউটাউনের পেশায় গাড়ীচালক প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করতে এসেই ফোনে পরিচয় হয় দীপিকার। আস্তে আস্তে আলাপ থেকেই প্রেম হয়। জানা গেছে ক্যানিংয়ে দীপিকার বাড়িতে প্রায়ই আসা-যাওয়া ছিল প্রসেনজিতের। প্রায় ১০ বছর নিজের ছেলের চোখের সামনেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। কাকুর সাথে মায়ের সম্পর্ক ঠিক কি সেটা বোঝার বয়স না হলেও তাকে ভালো মতন চিনেও যায় দীপিকা দেবীর ছেলে। এরপর এক সময় থেকে প্রসেনজিৎ দীপিকার বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলা প্রসেনজিৎ ও দীপিকার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের বিবাদ কানেও আসে প্রতিবেশীদের। বেশ কিছুক্ষণ চলার পর তা মিটেও যায়। রাত বাড়লে সকলে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ডাকেন প্রতিবেশীরা। এরপর দরজা খুলে পর্দা সরালেই দেখতে পান ঝুলন্ত অবস্থায় দীপিকার দেহ। প্রসেনজিত কে কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। অবশেষে ক্যানিং থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা।

খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ এসে দীপিকা মুখোপাধ্যায়ের ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। দীপিকার মা অভিযোগ করেন তাঁর মেয়েকে খুন করে ঝোলানো হয়েছে। খুনের অভিযোগ প্রতিবেশীদের তরফেও। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

Related posts

করোনা ভাইরাসের বার বার সংক্রমিত হওয়া কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়? কী বলছে বিশেষজ্ঞরা

News Desk

৭০% টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার পরও ফের আমেরিকায় থাবা বসাচ্ছে করোনার। দৈনিক সংক্রমন ১ লাখ পার

News Desk

ভারতে আবারও ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমনের গ্রাফ, বাড়লো মৃত্যুও

News Desk