বিয়ে মিটে গিয়েছিল। নতুন বউ কে নিয়ে দিব্যি চলছিল সংসার। কিন্তু হঠাৎই বিয়ের কুড়ি দিন পার হতেই নতুন স্ত্রীর আসল সত্যতা জানতে পারলো স্বামী (Viral News of a Newly Married)। আর তাতেই মাথায় হাত পরল। তড়িঘড়ি দৌড়লেন থানায়, শরণাপন্ন হলেন পুলিশের। নববধূর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনাটা কী? জানুন পুরো কাহিনী।
এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বারমের জেলার ভিমদা এলাকায়। বিয়ের দিন ২০ পর স্ত্রী যে আসলে ডাকাত সে তথ্য জানতে পারলেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ডাকাত বউ ও তাঁর বাকি সাঙ্গপাঙ্গদের খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্র মেহরাম জাট রাজস্থানের ভিমদার বাসিন্দা। মেহরামের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাশের রাজ্য গুজরাতের আহমেদাবাদের বাসিন্দা তরুণী মমতার। দিন কুড়ি আগে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শুরু হয় সংসারও। কিন্তু বিয়ের দিন কুড়ি পার হতেই হঠাৎ করেই শ্বশুরবাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান নববধূ মমতা। স্বভাবতই এতে অবাক হয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তার পরেই টের পাওয়া যায় যে শুধু মমতা গায়েব হয়েছে তাই নয় সাথে সাথেই গায়েব হয়েছে নগদ ৩ লক্ষ টাকা আর সোনা-রুপোর গয়না। এরপরেই স্বামী মেহরামের সামনে আসে আসল রহস্য। তিনি এক সূত্র থেকে জানতে পারেন তাঁর বিবাহিত স্ত্রী আসলে ডাকাত দলের একজন। টাকা গয়না হাতিয়ে নিতে তারা বিয়ে করেন এটাই তাদের পেশা। এই জন্যই তিনি মেহরাম কে বিয়ে করেছিলেন।
কোন উপায় না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন মেহরাম। অভিযোগ পেয়ে নববধূ আর বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত তারা অধরা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, মেহরাম তাঁর বিয়ের জন্য ভিমরা অঞ্চলের জগারাম নামক একজনকে ঘটক হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। এরজন্য জগারাম তার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকাও নিয়েছিলেন, জানায় পুলিশ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাই ওই ঘটককেও জেরা করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মমতা আগেও ন’বার বিয়ে করেছেন। মেহরামের সাথে সে দশ নম্বর বিয়ে সেরেছিল। তার একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে এমনটাই জানা গিয়েছে।