Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

নিজের মিষ্টি কথায় পাততেন ফাঁদ, পুলিশের জালে ১৪ টি বিয়ে করা ডাক্তারবাবু

প্রবাদ আছে ‘যে বিয়ের লাড্ডু খাবে সেও পস্তাবে, আর যে খাবে না সেও পস্তাবে’। কিন্তু অনেকেই এই লাড্ডু একবার খেয়েও অনুতপ্ত হন না আবারও খেতে প্রস্তুত হন, অর্থাৎ আবারও বিয়ে করতে চান। আপনারা নিশ্চয়ই এমন অনেকের কথা শুনেছেন যারা ১টির বেশি বিয়ে করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে জানা গেছে যিনি ১টি কিংবা ২টি নয়, ১৪ জন নারীকে বিয়ে করেছেন (Odisha Man married 14 women)। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি বিভিন্ন রাজ্যে এই কীর্তি করেছেন।

ডাক্তার সেজে এইভাবে ১৪ জন মহিলাকে বিয়ে (Marriage) করার পরে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অভিযুক্ত। ঘটনাটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের (Odisha)। জানা যাচ্ছে, এই ভাবে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা করেছিলেন ওই ৫৪ বছর বয়সী ব্যাক্তি। অভিযুক্তের নাম রমেশ।

ওড়িশা পুলিশ সম্প্রতি বিধুপ্রকাশ সোয়াইন ওরফে রমেশ সোয়েন নামে সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই ব্যক্তিকে ৭ রাজ্যের ১৪ জন মহিলাকে বিয়ে করে এবং তাদের সবাইকে মিথ্যা বলে টাকা নেওয়ার মত অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অপরাধে আটক করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া জেলার পাটকুরা গ্রামের বাসিন্দা। আরো বলা হয়েছে, সে বিয়ে করে পলাতক থাকত, টাকা চুরি করত (odisha man marry 14 women and cheated them)। ভুবনেশ্বরে গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তি অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন।

জানা গেছে, রমেশ প্রথম বিয়ে করেন ১৯৮২ সালে। এরপর ২০০২ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ভুবনেশ্বরের ডিসিপি জানিয়েছেন, এই বিয়ে থেকে ওই ব্যক্তির প্রায় ৫টি সন্তান রয়েছে। তারপর ২০০২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত, রমেশ ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে মহিলাদের সাথে পরিচয় করে একে একে আরো ১২ জনকে বিয়ে করেছিল। লোকটি তার ১৪ তম স্ত্রীর সাথে ভুবনেশ্বরে বসবাস করছিলেন যিনি দিল্লিতে একজন স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন। মহিলা কোনওরকমে তার আগের বিয়ের কথা জানতে পেরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ ওই ব্যক্তিকে তার ভাড়াবাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে। ডিসিপি বলেছেন যে তিনি মধ্যবয়সী ডিভোর্সপ্রাপ্ত মহিলাদের সাথে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন যারা নতুন সঙ্গী খুঁজছিলেন। এরপর বিয়ে করে তাদের টাকা পয়সা হাতিয়ে উধাও হয়ে যেতেন। প্রতিবারই তিনি নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিতেন এবং আইনজীবী, ডাক্তারদের মতো শিক্ষিত নারীদের নিজের শিকারে পরিণত করতেন। লোকটির প্রথম দুই স্ত্রী ওড়িশার, বাকি স্ত্রীরা দিল্লি, পাঞ্জাব, আসাম, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যের।

অভিযুক্তের বাড়ি তল্লাশি করে ১১টি এটিএম কার্ড আর ৪টি ভুয়ো আধার কার্ড পেয়েছে পুলিশ। কার্ডগুলিতে আলাদা আলাদা নাম ব্যবহার করেছিলেন তিনি। অবশ্য এর আগেও নাকি তিনি জেল খেটেছেন অবশ্য সেটা ভুয়ো চাকরির ফাঁদ পেতে।

Related posts

পনের গাড়ি পছন্দ নয়! দিনরাত খোঁটা শুনে আত্মঘাতী স্ত্রী! সরকারি কর্মী স্বামীর চাঞ্চল্যকর শাস্তি

News Desk

ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ভিড়ে সাথের লোককে খুজেঁ পাচ্ছেন না? বিশেষ পরিষেবা লালবাজারের

News Desk

শহীদ CRPF জওয়ানের বোনের বিয়ে, সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন মৃত জওয়ানের সাথী সৈনিকরা

News Desk