করোনা এবং করোনার সর্বশেষ ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপট সামলে দেশের জন্য সস্তির সময় এসেছে। কেননা গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ক্রমাগত নিচের দিকে নামছে। বলা যায় তৃতীয় ঢেউ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশ। আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত রিপোর্ট এ মিলেছে বড়সর সুখবর। ৫০ হাজারের গণ্ডির নীচে নেমে গেল করোনা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
গত ২৪ ঘন্টায় দেশে প্রায় ৪৪ হাজার নতুন করোনা আক্রান্তের (Corona Daily Cases) খবর পাওয়া গেছে এবং ৬৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি গতকালের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। করোনা থেকে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৫৫ শতাংশ। যেখানে পজিটিভিটি রেট এখন ৩.১৭ শতাংশ হয়েছে। এর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার দেশে ৫০ হাজার ৪০৭জন নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। যেখানে ৮০৪ জন করোনা রোগী মারা গেছে।
আজ ১৩ই ফেব্রুয়ারি সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪৪ হাজার ৮৭৭ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৬৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫ এ। একইসঙ্গে এই মহামারীতে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৬৬৫ জন। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৭১১ জন করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন।
একই সময়ে, দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযানের অধীনে এই পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কোটি ডোজ অ্যান্টি-করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। গতকাল ৪৯ লাখ ১৬ হাজার ৮০১টি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে, এরপর এ পর্যন্ত ১৭২ কোটি ৮১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৪৭ ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য এই সবের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে ওমিক্রন করোনার শেষ রূপ নয়। WHO এর কোভিড-১৯ টেকনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান জানান, “আমরা এই ভাইরাস সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি তবে সবকিছু জেনেছি, এটি বলা অতিরিক্ত হবে। আমরা ক্রমাগত করোনা ভাইরাসটিকে ট্র্যাক করছি কিন্তু এর মিউটেশন বিভিন্ন উপায়ে ঘটছে। Omicron এই মুহূর্তে সর্বশেষ ভেরিয়েন্ট। যদিও এটি করোনার শেষ ভেরিয়েন্ট হবে না। এখনও অন্য অনেক ভেরিয়েন্টও আসতে পারে।”