Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
FEATURED ট্রেন্ডিং

চাদর বেঁধে ছেলেকে ১০ তলার বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন মা! মায়ের কীর্তির ভিডিও ভাইরাল

মা চায় সন্তানকে সব সময় সমস্ত রকম বিপদ আপদ, ঝুঁকি থেকে আগলে রাখেন। কিন্তু এমন কথা শুনেছেন কখনো যে মা নিজেই সন্তানকে ১০ তলা উঁচু বিল্ডিং এর বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। শুনলে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে হরিয়ানার ফরিদাবাদে (Faridabad)। ওই মায়ের এমন কীর্তির এক ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু সকলের মনে একটাই জিজ্ঞাসা কেন কোনো মা নিজের সন্তানকে এইভাবে দশতলা উচু বারান্দা (Balcony) থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন? কারণটা শুনলে হতবাক হয়ে যাবেন আপনিও।

আকাশছোঁয়া উচ্চতা থেকে ওই শিশুকে ঝুলতে দেখার ভিডিয়ো দেখে শিহরিত হয়েছেন বহু মানুষ। কিন্তু কেন এমন করেছেন তা জানতে চাইলে ওই মহিলার যুক্তি শুনে অনেক বেশি অবাক হয়েছেন সকলে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা তাঁর বারান্দায় একটি শাড়ি শুকোতে দিয়েছিলেন। বাতাসে সেটি কোনোভাবে উড়ে গিয়ে পড়েছিল নিচের ৯ তলার বারান্দায়। এদিকে, নীচের তলায় কেউ বাস করে না, সেই অ্যাপার্টমেন্ট লক আছে। তাই সেই বারান্দা থেকে শাড়ি তুলে আনতে নিজের ছোট্ট ছেলেকেই বিছানার চাদরে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে ছিলেন তাঁর মা। কিন্তু যদি কোনভাবে চাদরের বাঁধন আলগা হয়ে যেত তাহলে তো একটা মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে যেত। ওই শাড়ি কি ছেলের প্রাণের থেকেও দরকারী? প্রশ্ন নেট নাগরিকদের। জানা গেছে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি মহিলা। গোটা ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় স্পষ্টত দৃশ্যমান ১০ তলার বারান্দায় বিছানার চাদরের একপাশ ধরে দাঁড়িয়ে আছেন ওই মহিলা। নীচের তলার বারান্দার কাছে চাদরে বাঁধা অবস্থায় ঝুলছে ওই ছোট্ট ছেলেটি। মা ছাড়াও ব্যালকনিতে দাড়িয়ে পরিবারের বাকি সদস্যরাও। সূত্র অনুযায়ী গত সপ্তাহের ৬ বা ৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদাবাদের সেক্টর ৮২ তে ঘটেছে ঘটনাটি। ওই মহিলার বিল্ডিং এর বিপরীত দিকে অবস্থিত আরেকটি ফ্ল্যাট থেকে এক প্রতিবেশী গোটা ঘটনাটির ভিডিও করেন।

Related posts

জানেন নিজের নামে কটি সিম কার্ড রাখতে পারবেন? এর বেশী হলেই বিচ্ছিন্ন হবে সংযোগ

News Desk

স্বামীর সন্তান সুখের জন্য সবকিছু! পুলিশ গ্রেফতার করতে এলেও আটকালেন স্ত্রী!

News Desk

সাড়ে সাত বছর ধরে চলা শনির সাড়ে সাতি দশা আসলে কী? কি প্রভাব ফেলে এটি আপনার জীবনে?

News Desk