স্ত্রীর রয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। আর গভীর রাতে স্বামী যখন ঘুমাচ্ছে তখন হঠাৎই সেই প্রেমিক পিছনের দরজা দিয়ে চলে এলো বাড়িতে। কিন্তু হঠাৎই স্বামীর ঘুম ভাঙলো। ফল হল মারাত্মক। রাজধানীর বুকে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। দিল্লি পুলিশ এই ভয়াবহ ঘটনার সূত্র ধরে এক যুবক ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, গ্রেফতার হওয়া যুবক ওই মহিলার স্বামী এবং তিনি মহিলার প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। জানা গেছে ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৫২ মিনিট নাগাদ নাজফগড়ের সুশীল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের কাছে ড্রেনে পাটের বস্তায় এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে আছে বলে পুলিশ খবর পায়। এমতাবস্থায়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দেখে পাটের বস্তায় মৃতদেহটি অনুমান একটি ২৬ বছর বয়সী যুবকের মৃতদেহ।
তবে সেই সময় মৃতদেহ কোন যুবকের সেই পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। একই সঙ্গে ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, পুলিশ যার লাশ উদ্ধার করেছে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এরপরই খুনের তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের দল। তদন্ত চলাকালীন দিল্লি পুলিশ যেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছিল, তার আশেপাশের অঞ্চলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে দিল্লি পুলিশ জানতে পায় যে মৃত ব্যক্তির নাম সোনু, যিনি দিল্লির পান্ডাওয়ালা কালানের বাসিন্দা ছিলেন।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, দৌলত রাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করতেন সোনু। এমতাবস্থায় পুলিশ যখন দৌলত রামের খোঁজ করে, তখন দৌলত রাম তাঁর বাড়িতে ছিলেন না। প্রতিবেশীরা জানান, দৌলত রাম স্ত্রী-সন্তানসহ তিন-চার দিন ধরে পলাতক রয়েছেন। কিন্তু দৌলত রাম কিছু জিনিসপত্র নিতে তাঁর বাড়িতে আসে সেই সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রেফতারের পর পুলিশের সামনে চাঞ্চল্যকর প্রকাশ করলেন দৌলত রাম। তিনি জানান, তার স্ত্রী ও সোনুর মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে যখন তিনি ঘুমোচ্ছিলেন পেছনের দরজা দিয়ে দৌলতরামের বাড়িতে প্রবেশ করে সোনু। তার হাতে একটি পিস্তল ছিল এবং সে নাকি দৌলতরামের স্ত্রীকে তার সাথে যেতে বলেন। তার কথা মত কাজ না করলে সে দৌলত রামের ছেলেকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
এ সময় দৌলত রাম জেগে ওঠে এবং উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সোনুর হাতে একটি পিস্তল ছিল, দৌলত রাম সোনুর কাছ থেকে পিস্তলটি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে গুলি করে। খুনের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সোনুর লাশ বস্তায় মুড়িয়ে নজফগড়ের একটি ড্রেনে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেয়। পুলিশ এই ঘটনায় দৌলত রাম ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের জেরা করে বাকি তথ্য প্রকাশের চেষ্টা চলছে।