ভারতে টিকা যে পরিমানে দেওয়া হয়েছে সেই সময় তা কাজ করলেও ওমিক্রনে খুব একটা কাজ করেনি, বলা বাহুল্য কাজই করেনি। অনেকের ক্ষেত্রেই এরকম হয়েছে। সেজন্য যে সমস্ত টিকা দেওয়া হয়েছে তার কার্যকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট সন্দেহ রয়ে গেছে। এমনও মনে করা হচ্ছে যে করোনার অন্য যে রূপগুলি ভবিষ্যতে আসতে চলেছে সেগুলি সামলাতেও হয়তো পারবে না এই টিকা। তাই অনেকেরই মত, যে আগামী দিনে নতুন টিকা আনতে হবে কোভিড রুখতে ।
এমন একটি টিকা এমতাবস্থায় তৈরি করে ফেলার দাবি করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই টিকা প্রতিহত করতে পারবে করোনার পুরনো রূপগুলি তো বটেই, এর পরে মিউটেশনের ফলে তৈরি হওয়া অন্য রূপগুলিকেও।
সম্প্রতি Peptide Vaccine তৈরি করেছেন আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভুবনেশ্বরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (IISER)-এর কয়েক জন গবেষক। ইতিমধ্যেই এই টিকাটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার দিকে এগোচ্ছে।
মূলত ৫জন গবেষক দলে রয়েছেন। এখন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত অভিজ্ঞান চৌধুরী এবং সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায়। পার্থসারথি সেনগুপ্ত, সরোজকুমার পণ্ডা, মলয়কুমার রানা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে। তাঁরা জানিয়েছেন, বেশ সাফল্যের সঙ্গে কোভিডের যে কোনও রূপ আটকে দিতে পারছে তাঁদের এই টিকাটি।
অভিজ্ঞান চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আর এমন ভ্যাকসিন নেই। এক্ষেত্রে করোনার সব ক’টি রূপকে একটি মাত্র ভ্যাকসিনই আটকে দিতে পারবে। তাঁর কথায়, বেশ কয়েক জনের উপর ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, করোনার যে কোনও তীব্রতা এই টিকাটি প্রতিহত করতে পারছে। করোনাভাইরাসকে আটকাতে আগামী দিনে এই টিকাটি অত্যন্ত কাজের হয়ে দাঁড়াবে বলে মত এই দুই নামজাদা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষকদের। তাঁদের মতে, ভবিষ্যতে করোনা চিকিৎসার পদ্ধতি এই টিকা বদলে দিতে পারে।