শুক্রবার ৭ই মে বিধানসভায় এসে বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ করলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের জয়ী বিজেপি প্রার্থী মুকুল রায়। শুক্রবার নদিয়ার বিধায়কদের শপথের কর্মসূচি ছিল বিধানসভায়।
বিধানসভা ভবনে শপথ নিতে এসে কিছুটা অন্য রকম মেজাজে পাওয়া গেল মুকুল রায়কে। বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার দিনই মৌনতাই অবলম্বন করেছিলেন তিনি। এমনকী বিধানসভায় প্রবেশ করেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচিব এর ঘরে প্রবেশ, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় ও আলোচনা পাশাপশি বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা — ইত্যাদি ঘটনা নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
প্রসঙ্গত বিধায়কের শপথ নিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যে গেট দিয়ে বিধানসভায় ঢোকেন, সেই গেট দিয়েই প্রবেশ করেন মুকুল রায়। প্রবেশ করেই প্রথমে তৃণমূল পরিষদীয় দলের ঘরে যান প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। সেই ঘরে এক সরকারি আধিকারিকের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর যান শপথগ্রহণ কক্ষে। প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় মুকুল রায়কে শপথবাক্য পাঠ করান।
এইদিন দুপুরে বিজেপির জয়ী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ছিল দিলীপ ঘোষের। এই কথা বৃহস্পতিবারই জানানো হয়েছিল দলের সবাইকে। শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় এসে পরিষদীয় দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক সারবেন দিলীপ। এটাই ছিল সূচী। কিন্তু সেখানে অনুপস্থিত রইলেন মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। তবে তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এটা দলীয় কর্মসূচি মেনে বৈঠক নয়। তাই উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়।’
বিধানসভা ভবন থেকে বেরোনোর সময় মুকুল রায়ের প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে মুকুল প্রথমে এড়িয়ে যেতে চান। পরে বলেন, “আমি এখন কিছু বলব না। যখন বলার হবে, তখন সাংবাদিকদের ডেকে নেব।” পাশাপাশি আরও বলেন “মানুষের জীবনে এমন দু’একটা দিন আসে, যখন মানুষকে চুপ থাকতে হয়।”
এই কথার পরই এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায় বিধানসভার অলিন্দে।