এ এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজের ছয় তলা থেকে পরে গিয়ে। ঘটনার পর মারাত্বক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। মৃত শিশুটিকে ওই অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় মালদা মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষ এবং ওই এলাকার পুলিশ। এর সাথে ওই মৃত শিশুর শরীরের ময়না তদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজের মর্গে। কিন্তু ওই শিশু ছয় তলায় কীভাবে একা পৌঁছাল? কারোর চোখে কেনই বা পড়ল না? নিরাপত্তারক্ষীরা কোথায় ছিলেন? পরিবারই বা ঘটনার কী করছিল সময়ে? গোটা ঘটনায় কিন্তু একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরষিত সিং (৮) মৃত শিশুর নাম। বলবীর সিং বাবার নাম। বিহারের কাটিহারে বাড়ি। একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে সিং পরিবার মালদা (Malda) শহরের বুড়াবুড়িতলা এলাকায়। ছোট্ট একটি ঝালমুড়ির অস্থায়ী দোকান রয়েছে মেডিকেল কলেজের সামনেই বলবীর সিংয়ের। এদিন সকালে বাবার সঙ্গেই ছোট্ট হরষিত দোকানে আসে। তারপর মেডিকেল কলেজের আউটডোরে ছয় তলায় উঠে যায় সে অভিভাবকদের অলক্ষ্যেই। খেলার ছলে সেখান থেকে সিঁড়ির রেলিং বেয়ে নামতে গিয়েই বিপত্তি (Accident) বাঁধে। মাথায় আঘাত পায় ওপর থেকে তিন তলায় পড়ে গিয়ে। ওই শিশুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু।
বলবীর জানিয়েছেন, মৃগী ছিল ছেলের। তাই চোখের আড়াল করতেন না। তিনি বলেন “শুক্রবার হঠাৎ আমার নজর এড়িয়ে ছেলে আউটডোরের ছয় তলা বিল্ডিংয়ে উঠে যায় দোকান খোলার সময়। তারপর সেখান থেকেই পড়ে গিয়ে ছেলের মৃত্যু হয়।”
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, মালদায় রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। ফলে ভিড় কম হাসপাতালের আউটডোরে। সেই সুযোগেই শিশুটি সিঁড়ি বেয়ে ছতলায় উঠে পড়ে। সেখান থেকে খেলার ছলে রেলিং বেয়ে নামার সময় পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।