কোভিডের সূচনাকাল থেকেই চিকিৎসক থেকে বিশেষজ্ঞ প্রত্যেকেই ইমিউনিটি বাড়ানোর উপরে জোড় দিয়েছে। বারবার বলা হয়েছে ইমিউনিটি বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার উপর জোড় দিতে। সাথে ভ্যাকসিনেশন অ চলেছে কিন্তু এতকিছুর পরও মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর হলেও আক্রান্তদের মধ্যে তেমন ক্ষতিকর উপসর্গ নেই। আবার কিছু সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ওমিক্রনে আক্রান্তদের ইমিউনিটি অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ফলত অনেকেই এটা ভেবেছিলেন ইচ্ছা করেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন।
শুধু তাই নয়, একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেই কোভিডের বিরুদ্ধে যাবতীয় অনাক্রম্যতা গড়ে তোলা সম্ভব এমন অনেকেরই ধারণা হয়েছিল। শরীর নিজেই যখন ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে তখন সেটি ভাইরালের অন্যান্য রূপের সঙ্গে ভবিষ্যতেও লড়াই করার জন্যও কিন্তু প্রস্তুত। সেই সঙ্গে টিকা যথেষ্ট শক্তিশালী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে, বিশেষজ্ঞরা এ কথা কিন্তু বারবার বলেছেন।
কে কোন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হবে তার কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না বলে স্বাস্থ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে। আর আমাদের দেশে এখনও ১০-১৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ডেল্টায়। তাই যদি করোনা হয় তবে তিনি ডেল্টা নাকি ওমিক্রনে আক্রান্ত তা কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া কিছুতেই বলা সম্ভব নয়।
এছাড়াও ভাইরাল লোডের উপর সংক্রমণের তীব্রতা নির্ভর করে। কোভিড ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়া কোনও ওষুধের ডোজ নেওয়ার মত কিন্তু ন। আমাদের শরীরে ভাইরাস আক্রমণ করার পর শরীর ততখানি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারছে তার উপরও কিন্তু নির্ভর করে। ভাইরাল লোড যদি বেশি থাকে তাঁর থেকে তাহলে অন্যদের সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা কিন্তু অনেকখানি বেড়ে যায়। তবে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের কিন্তু স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে ১০ দিনের জন্য ওমিক্রনের সংক্রমণ মৃদু হলেও। কারণ সর্দি, কাশি, দুর্বলতা, মাথা ব্যথা, পেশির ব্যথা, ক্লান্তি এগুলো থেকেই যাচ্ছে। আর সর্দি, কাশি, কফ, খেতে ইচ্ছে না করা, স্বাদ চলে যাওয়া, বমি বমি ভাব এসব কিন্তু লেগেই থাকে দীর্ঘদিন সংক্রমন থেকে সেরে উঠলেও। এমনকী কি ওমিক্রনে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশিরভাগেরই লং কোভিডের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কিছু জটিলতাও থাকছে। আর সেজন্য ভ্যাকসিন সকলকেই নিতে হবে।