ইন্টারনেটের যুগে আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কত অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা সামনে আসে প্রায়শঃই যা বেশ চর্চিত হয়। তেমনই এক মায়ের ঘটনা এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল। ঘটনাটি সামনে এসেছে জাপান থেকে। জাপানের ঘটনাটি ইতিমধ্যেই বেশ শিরোনামেও আসছে। জানা গেছে একজন মহিলা তার সন্তানকে অস্বীকার করেছেন এবং ত্যাগ করেছেন কারণ তিনি জানতে পেরেছিলেন যে শুক্রাণু দাতার মাধ্যমে তিনি নিজের সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সেই ব্যাক্তি একজন চীনা, জাপানি নয়।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারী যখন স্পার্ম ডোনার দিয়ে সন্তানের জন্ম দেন, তখন তিনি স্পার্ম ডোনার নাশনালিটি সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন। মহিলাটি যখন তার প্রতারণার কথা জানতে পারে, তখন সে ক্ষিপ্ত হয়ে একটি অদ্ভুত পদক্ষেপ নেয়। ক্ষুব্ধ মহিলাটিও তার সন্তানকে ফেলে রেখে স্পার্ম ডোনারের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ কোটি টাকা দাবি করেন।
জাপানে IVF ক্লিনিক খুব একটা নেই। সেখানকার মহিলারা যদি স্পার্ম ডোনার এর সাহায্যে সন্তানের জন্ম দিতে চাইলে তারা নিজেরা নিজেদের দায়িত্বেই শুক্রাণু দাতা খুঁজে নেন। এই মহিলার সাথেও একই ঘটনা ঘটেছে। যে পুরুষের শুক্রাণু এর সহায়তায় সে সন্তান প্রসব করেছিল সে তার জাতীয়তা এবং শিক্ষা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য সেই মহিলাকে দিয়েছিল। মহিলা বিষয়টি জানতে পেরে স্পার্ম ডোনারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন এবং মানসিক ভাবেও ক্ষতি হয়েছে। এ কথা বলে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। এবং শিশুটিকে সরকারি কেন্দ্রেই নাকি দিয়ে দিয়েছেন ওই মহিলা।
2019 সালে, মহিলা শুক্রাণু দাতার সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি ইতিমধ্যেই এক সন্তানের মা ছিলেন, কিন্তু তার স্বামীর শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি যখন আরেকটি সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি শুক্রাণু দাতা বা স্পার্ম ডোনারের খোঁজ করেন। যখন মহিলাটি দাতার নাশনালিটি অর্থাৎ সে কোন দেশের নাগরিক এবং তার পড়াশুনা কি সেই সম্পর্কে জানতে পারে তখন গর্ভপাতের জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় সন্তান প্রসবের পর তাকে নিতে অস্বীকার করে চলে যান ওই নারী। কিন্তু নেটিজনরা এই মহিলাকে তার এমন কাজের জন্য সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে এই কারণে শিশুটিকে এই ভাবে ত্যাগ করে সে গর্হিত কাজ করেছে। জানা গিয়েছে এখন সেই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।