যৌনতার চাহিদা অতিরিক্ত স্ত্রীর। কিন্তু স্বামী যেন কিছুতেই পারে না স্ত্রীর কামনা বাসনা মেটাতে। শারীরিক অক্ষমতার কারণে স্ত্রী বারংবার অসন্তুষ্ট হন। কিন্তু স্ত্রী সেই যুক্তি মানতে নারাজ। তাই প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়েছেন স্বামীর শারীরিক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। তার জন্য স্বামীকে খাইয়ে গেছেন একের পর এক যৌনক্ষমতা বর্ধক ওষুধ। প্রয়োগ করেছেন লিঙ্গবর্ধক ফোম। কিন্তু কিছুতেই যেন ফল মিলছিল না। তাই শেষমেষ স্বামীর পুরুষাঙ্গের ভেতরে ঢুকিয়ে দিতে গেলেন লিঙ্গবর্ধক ওষুধ। আর এই কাজের পর তার পরিণতি দেখে স্ত্রীর চক্ষু ছানাবড়া।
ইঞ্জেকশনের মতো ফোম পুরুষাঙ্গের ভিতর প্রবেশ করানোর কারণে পুরোপুরি বদলে যায় তার স্বামীর পুরুষাঙ্গের চেহারা। সাথে সাথে শরীরে দেখা দেয় নানা রকম প্রতিক্রিয়া। ওই কাজের পরে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে স্বামীর। তার মুত্রত্যাগে দেখা দেয় জটিলতা। এরপর একদিন মূত্রের সাথে সাথেই বেরোতে থাকে রক্ত। তাতে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে যান স্বামী স্ত্রী। সাথে সাথেই দৌড়তে থাকেন চিকিৎসকের কাছে।
যখন তাঁরা চিকিৎসকের কাছে যান। পুরো বিষয়ের কথা শুনে তাজ্জব বনে যান চিকিত্সকরাও। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন পুরুষাঙ্গের মধ্যে জমে গেছে ফোম, যা শরীরের স্বাভাবিক রেচন প্রক্রিয়া নষ্ট করে দিয়েছে। সেই কারণেই অপারেশন করতে হবে। তার পরে করা হয় অপারেশন। ওই ব্যাক্তির পুরুষাঙ্গ থেকে প্রচুর পরিমাণ ফোম বার করে আনেন চিকিৎসকরা। বেশ কয়েকটি জটিল অস্ত্রোপচারের পর কোনওমতে রক্ষা পান ওই মানুষটি।
ওই ব্যক্তি পরে চিকিৎসকদের জানান, এর আগেও তার যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এমন কাজ করেছেন তিনি। স্ত্রী তাঁকে এসব করতে জোর করেছেন। কিন্তু তখন কোনও সমস্যা হন হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে এমন ধরনের অবৈজ্ঞানিক ভাবে ওষুধ প্রয়োগের ফলে তাঁর যৌনাঙ্গের কার্যক্ষমতা তো কমেছেই, পাশাপাশি শরীরেও খারাপ প্রভাব পড়েছে। এসব না বিষয়ে না জেনে এমন কাজ একেবারেই করা উচিত হয় নি। এতে প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারে।