হঠাৎ বাড়ির ফোন থেকে একটি ভিডিও বার্তা এলো, তখন ঘড়িতে প্রায় রাত সাড়ে এগারোটা। আর সেই ভিডিও বার্তায় দেখা গেলো বাড়ির ছেলে সিকেশ কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দাঁড়িয়ে আছে। সেইটা ভিডিও বার্তাতে দেখা যাচ্ছে সে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে আর তার এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়! এই মেসেজটি পাওয়ার পর বাড়িতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাদের সব থেকে বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়ায় যে ছেলেকে কি করে বাঁচাবেন? এই দোলাচলের মধ্যেই তারা পুলিশকে ফোন করে জানায়।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে সোমবার মধ্যরাতের ঠিক আগেই এসে পৌঁছান বছর ২৩-এর তরতাজা যুবক সিকেশ। দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে ঝাঁপ দেন সেই ব্যক্তি স্কুটারে চেপে এসে। তবে ভিডিও করে পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠান চেতলার ওই বাসিন্দা ঝাঁপ দেওয়ার আগে।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুটারে করে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে আসেন ওই ব্যক্তি গতকাল রাত সাড়ে এগোরাটা নাগাদ। তারপর পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠান ভিডিও করে। পুলিশে খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। স্কুটারটি দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে এখনও ওই ব্যক্তির হদিশ মেলেনি। তল্লাশি চালাচ্ছে এনডিআরএফ। জানা গিয়েছে, সিকেশ ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত কী কারণে ? এখনও প্রাথমিক ধাক্কা সামলে কেউই কিছু বলতে পারেননি।
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি, দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এক যুবক ঝাঁপ দেন। তবে গঙ্গায় নয়, তিনি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর শালিমারের দিকে রাস্তায় ঝাঁপ দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয়রা তাঁকে রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সেদিন সকাল ১১টা নাগাদ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে শিবপুর থানার পুলিশ হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।