শিশুকন্যাকে নিয়ে একাই থাকতেন মহিলা ফাঁকা বাড়িতে। কিন্তু নজরে আসছিলেন না কয়েকদিন। কিন্তু তার শিশু কন্যার অস্বাভাবিক কান্নার আওয়াজে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। দেখতে গিয়ে চমকে ওঠেন তারা। বাড়ীর ভেতরে খাটের তলায় দেখতে পাওয়া যায় সেই গৃহবধূর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার (Dead Body Recovered)। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পুরসভার অন্তর্গত ৮ নম্বর ওয়ার্ড জয়ন্তিপুরে। এমন ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল চন্দ্রকোনায় (Chandrakona)। কাজের সুত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন মহিলার স্বামী। ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে একা একাই বাড়িতে থাকতেন তিনি। ওই মহিলাকে কোনো আততায়ী খুন করেছেন এমনটাই সন্দেহ প্রতিবেশিদের। খুনের ঘটনা তদন্তে নেমেছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।
জানা গেছে সোমবার বাড়িতে দুধ দিতে গিয়েছিলেন পাড়ার গোয়ালা। অনেকক্ষণ ধরে ডাকলেও কেউ সাড়া দেননি। বেলা গড়ালেও বেরোননি মহিলা। শেষে বাচ্চা মেয়েটির কান্নার আওয়াজ কানে যেতেই অবাক হন প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় বাড়িতে ঢুকে খোঁজ খবর করতে গেলে প্রতিবেশি এক মহিলার চোখে পরে খাটের তলায় মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়।
সাথে সাথেই পাড়া-পড়শিদের ডাকেন প্রতিবেশি ওই মহিলা। মৃত ওই মহিলার স্বামী এবং আত্মীয় স্বজনদের খবর দেওয়া হয়। মৃত মহিলার বাপের বাড়ি ঘাটাল থানার অন্তর্গত মনোহরপুকুরে। খবর পাঠানো হয় চন্দ্রকোনা থানাতেও। খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছন চন্দ্রকোনা থানার ওসি, এসডিপিও অগ্নিশ্বর চৌধুরী-সহ পুলিশ কর্মীরা। তত ক্ষণে বাড়িতে ভিড় জমে গিয়েছে এলাকার লোকজনের। সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, মৃত মহিলার নাম সোমা পাল। বয়স ২৬ বছর। তাঁর স্বামী গোবিন্দ পাল সোনার কারিগর। কাজের সুত্রে থাকেন মুম্বইয়ে। একা একাই আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন মহিলা। তাঁর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে রহস্য ঘনিয়ে উঠছে।