অপরূপ সুন্দর এই মহিলা। কিন্তু এই সৌন্দর্য্যই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ালো। না বাইরের কেউ নয়, স্বয়ং মহিলার স্বামীর চোখের বালি হয়ে দাঁড়ালো তাঁর স্ত্রীর রূপ। কেন তাঁর এত বেশি রূপ এই অপরাধের কারণে প্রানেই মেরে ফেললেন তাঁকে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের গোপালগঞ্জ জেলায়৷ সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এলাকায় ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত মহিলার নাম গুলপশা খাতুন।
কিন্তু হঠকারিতায় নয় নিপুণ প্ল্যান করেই স্ত্রী কে হত্যা করেছেন ওই ব্যাক্তি। ব্যাক্তির নাম সাদ্দাম। জানা গেছে বাপের বাড়ীতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। আর স্ত্রীকে নিয়ে আসতে সেখানে পৌঁছেছিল হত্যাকারী স্বামী৷ জামাই আসতেই স্বভাবতই প্রচুর খাতির যত্ন করে মহিলার বাপের বাড়ীর লোকজন। তারপর মেয়ে জামাই কে বিদায় দেয় মেয়েটির বাড়ির লোক৷ কোনো সন্দেহ ছাড়াই শ্বশুরবাড়ি অভিমুখে স্বামীর সাথে রওনা দেয় মেয়েটি। তখনো সে আঁচ করতে পারেনি যে তার জন্য অপেক্ষা করছে কি মারাত্মক ফাঁদ। পথেই নিজের স্ত্রী কে প্রাণে মেরে ফেলেন ওই ব্যক্তি। গলা টিপে মেরে ফেলার পর হাইওয়ের ধারে ডেডবডি ফেলে পালিয়ে যায়৷ যাতে এটা অ্যাক্সিডেন্ট মনে হয়৷
সাধারণভাবে সকল পুরুষের ইচ্ছা থাকে তার স্ত্রী সুন্দরী হোক। কিন্তু বিয়ের পর সকলে প্রত্যেকেই সাদ্দামের স্ত্রী গুলপশা খাতুনের সৌন্দর্য্যের এত বেশী প্রশংসা করছিল সেটা কোনভাবে তার মনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। সন্দেহ হতে থাকে স্বামীর৷ স্ত্রী-র নিশ্চয় বিবাহ বহির্ভূত (extramarital affair) প্রেমের সম্পর্ক আছে এমনটা ভেবে নেয় মনে মনে৷ বাড়তে বাড়তে তার মানসিকতা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে তার স্ত্রীকে খুন করে দেয়৷
বিহারের সিবান জেলার বড়হরিয়া থানা ক্ষেত্রে পকড়ী গাঁও -র রুস্তম আলির মেয়ে গুলবসা খাতুন। সাদ্দাম আর গুলবসার বিয়ে হয়েছিল পাঁচ বছর আগে৷ তাঁদের দুই সন্তান আছে৷ নিজের স্ত্রীর বিয়ের বাইরে আরো সম্পর্ক আছে এই সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়ি ফিরিয়ে আনার নামে তাকে খুন করে দেয়৷