বলা যায় আজব প্রেম কি গজব কাহানি! বিহারের গয়া শহরে একজন ৭০ বছরের বৃদ্ধ একজন ৩০ বছরের মেয়েকে বিয়ে করে আবার প্রমাণ করলেন যে প্রেম অন্ধ। কথায় বলে যারা ভালোবাসে তারা দুনিয়ার পরোয়া করে না এবং বয়স, বর্ণ, ধনী-গরিব ভেদাভেদ করে না। বিহারের গয়ার সম্পন্ন হয়েছে এই অত্যাশ্চর্য বিয়ে।
বিহারের গয়ার বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী রামাশীষ যাদব ৩০ বছর বয়সী লক্ষ্মী দেবীকে বিয়ে করেন। হিন্দু রীতিনীতি অনুযায়ী বিষ্ণুপদ আর লক্ষ্মী একটি মন্দিরে একে অপরের গলায় মালা দিয়ে বিবাহ সম্পন্ন করেন। যখন এই বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল তখন আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে নানা কথা বলতে থাকে।
মন্দিরে বিয়ের পর রমাশীষ ও লক্ষ্মী দুজনেই আদালতে পৌঁছে রেজিস্ট্রারের সামনে আবার আইনত বিয়ে করেন এবং বিয়ের সার্টিফিকেটও নিয়ে নেন। ৪০ বছরের বয়স পার্থক্যের এই বিয়ে দেখে অনেক আপত্তি জানিয়ে ৭০ বছর বয়সী রমাশীষকে নানাভাবে অভিযুক্ত করতে থাকে। লোকেরা অভিযোগ করেছিল যে এই বৃদ্ধ মেয়েটির সাথে তিনি নিশ্চয় কিছু ভুলভাল কাজ করেছেন এবং বিবাদ বাড়লে তিনি আদালতে গিয়ে আইনত বিয়ে করেছেন। কিন্তু সত্যতা জানার পর মানুষের চোখ ফোঁটে।
রমাশীষের স্ত্রী প্রায় চার বছর আগে মারা গেছেন। তার নিজের ছেলে এবং মেয়ের জামাই তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এমনকি খাওয়া-দাওয়া করতেও দেননা ঠিক ঠাক। পরিবারে থাকা সত্ত্বেও রমাশীষকে অনেক রাত ক্ষুধার্ত ঘুমাতে হয়েছে। অন্যদিকে, লক্ষ্মী দেবী ছিলেন একজন অনাথ ও নিঃস্ব মেয়ে, যার বিয়ের কিছুদিন পরই তাঁর বাবা-মা মারা যান। কয়েক মাস পর তার স্বামী তাকে আর তার সন্তান কে ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকে লক্ষ্মী দেবী তার মাতামহের কাছে থেকে তার জীবনযাপন করছেন। কিন্তু পরিস্হিতির কারণে লক্ষ্মী দেবী জীবনে অসহায় আর সহায় সম্বলহীন ছিলেন বলা যায়।
ইতিমধ্যে, লক্ষ্মী দেবীর সাথে রমাশীষ বাবুর পরিচয় হয়। তাঁরা দেখা করতেন এবং উভয়েই একে অপরের কাছে তাদের দুঃখের কথা বর্ণনা করতেন। রমাশীষ তার ছেলে এবং পুত্রবধূর দ্বারা ইতিমধ্যেই হয়রান ছিলেন, তাই তিনি লক্ষ্মীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বলেন, যদি এমনি এমনি লক্ষ্মীকে সাহায্য করতে তাঁকে তার পরিবার বাঁধা বদে তাই একজন দরিদ্র নিঃস্বকে স্ত্রী বানিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।