স্বামীর অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক মহিলা। ওই মহিলা আদালতের কাছে জানিয়েছেন তার স্বামী সারাক্ষণ সেক্সের দাবি করে, যার কারণে তাকে অনেক সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়। তিনি এবং তার স্বামী দুজনেই 14 বছর ধরে বিবাহিত এবং তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। নাইজেরিয়ায় বসবাসকারী সেই মহিলা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন যে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান, অন্যথায় তার স্বামীর এই অতিরিক্ত যৌনমিলনের চাহিদা তাকে হয়তো শেষ অব্দি বাঁচতে দেবে না।
শুধু তাই নয় ওই মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে মদ খেয়ে মারধরেরও অভিযোগ এনেছে। ‘প্রিমিয়াম টাইমস নাইজেরিয়া’ তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহিলার নাম ওলামাইড লাওয়াল। গত ৭ জানুয়ারি আদালতে তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। আবেদনকারী নারীর স্বামীর নাম শাহেদ লাওয়াল। মহিলাটি বলেছেন যে তার স্বামী তার সাথে খুব বেশি পরিমাণে সেক্স করেন, যার কারণে তার ডিভোর্স দরকার। মহিলা আরও বলেন, মদ খেয়ে স্বামী তাকে মারধর করে। একবার পেটে মদ পড়লে তার আর কোন হুশ থাকে না।
ওই নারী আদালতে বলেন, তার বিয়ে হয়েছে ১৪ বছর হয়ে গেল কিন্তু তার স্বামীর মধ্যে মানবতা বলে কিছু নেই। পুরোপুরি আলোকোহলিক ওই ব্যক্তি। সে সবসময় মদ্যপান করে থাকে এবং তাকেও জোর করে নেশা করিয়ে রাখে। এই সমস্ত কারণে মহিলার অবস্থা খুবই শোচনীয়। এতে তিনি বিরক্ত হয়ে এখন স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চান। নির্যাতিতা তার স্বামীকে তার ফ্ল্যাটে আসা বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছেন।
আদালতের সামনে মহিলা আরও বলেন, অভিযুক্ত স্বামী তার খরচও দেয় না। একইসঙ্গে অভিযুক্ত স্বামী শাহিদ লাউয়াল পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। তিনি তার আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, এখন তিনি মদ্যপান ছেড়ে দিয়েছেন, তিনি তার সন্তানদের দেখাশোনা করতে প্রস্তুত। বিষয়টি আগামী ১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে দম্পতিকে আপাতত শান্তি বজায় রাখতে বলেছে আদালত এর বিচারক এস.এম. আকন্তায়ো। মামলার শুনানি মার্চ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে গেলেও এই ঘটনাটি সারা বিশ্বে আলোচিত হচ্ছে।
