আপনি নিশ্চয়ই প্রতিবেশীদের গল্প শুনেছেন। কখনো মারামারি আবার কখনো প্রেম ভালোবাসা। কিন্তু এক মহিলা তার প্রতিবেশীর এমন একটি গল্প ইন্টারনেটে শেয়ার করেছেন, যা শোনার পর মানুষ হতবাক। মহিলা তার প্রতিবেশীকে পাগল প্রতিবেশী বলে উল্লেখ করেছেন। কেননা মহিলাটি জানিয়েছেন যে প্রতিবেশী তাকে সূর্যের তাপ পোহাতে দেখতে এত পছন্দ করত, যে একেবারে তার বাড়ির গাছ কেটে ফেলে দিয়েছে। প্রতিবেশীর এই আচরণে মহিলা কিন্তু মহিলা ভীষণই বিরক্ত। এতোটাই বিরক্ত উনি যে তিনি তার পুরো ঘটনাটি ইন্টারনেটে শেয়ার করেছিলেন।
ঘটনাটি আমেরিকা যুক্তরাজ্যের। সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া এক সিঙ্গেল মা বলেছেন যে তার এক প্রতিবেশী এমনিতে খুব দয়ালু এবং সাহায্যকারী। কিন্তু এত গুণ থাকা সত্বেও তার কিছু আচরণ খুবই অদ্ভুত। তার মতে, যখন সে অনেক দূরে থাকে বা তাকে দেখা যায় না, তখন তার ঘর থেকে একটি অদ্ভুত শব্দ আসে, যা তাকে বাইরে এসে তাকিয়ে দেখতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়। মহিলাটি বলেছিলেন যে আমি যখন আমার ট্রাম্পোলাইনে সূর্যস্নান করছিলাম, অর্থাৎ রোদের তাপ পোহাচ্ছিলাম তখন তিনি উকিঝুঁকি মেরে দেখছিলেন, কেন আমি একটু উদাস এটা নিয়ে ওনার মাথাব্যাথা হতে শুরু করে। তিনি আমাকে এটি পরীক্ষা করার জন্য ফোন পর্যন্ত করেন। কারণ তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে আমি কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে ছিলাম। স্বভাবতই প্রতিবেশীর এহেন চাহনিতে তিনি অস্বস্তিবোধ করতে থাকেন।
প্রতিবেশীকে এড়াতে তিনি একটি গাছের আড়ালে রোদ পোহাতে শুরু করেন:
দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশীদের এড়াতে ওই মহিলা একটি গাছের আড়ালে সূর্যস্নান করা শুরু করেন। বেশ কিছু দিন অবধি ভালোই ছিল। কিন্তু বেশিদিন এই বিষয়ে মহিলা সস্তি পাননি। কেননা একদিন ওই ব্যক্তি গাছটি পর্যন্ত কেটে ফেলেন।
মহিলার এই অভিজ্ঞতার কথা শুনে সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা তাকে অনেক রকম পরামর্শ দেন। একজন বলল, সে তোমার বাগানের গাছ কাটতে পারবে না। হ্যাঁ. যদি গাছের কিছু অংশ তার বাড়িতে চলে যায় তবে তিনি তা কেটে ফেলতে পারেন। অন্য একজন ব্যবহারকারী পরামর্শ দিয়েছেন যে আপনি একটি ক্যামেরা কিনুন এবং এর বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করুন।