কেরালায়, একটি এমন সদস্যদের নেটওয়ার্ক সামনে এসেছে যেখানে জড়িত লোকেরা যৌনতার জন্য নিজেদের স্ত্রীকেই অদলবদল করত। রবিবার (9 জানুয়ারি, 2022) কোট্টায়ামের কাছের কারুকাচল থেকে এই বিষয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে স্ত্রী-অদলবদলের এই নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত লোকেরা টেলিগ্রাম এবং মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতেন। এই চক্রের সদস্য এক হাজারের বেশি বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, একজন মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন যে স্বামী জোর করে তার সাথে অস্বাভাবিক ধরনের যৌন সম্পর্ক রেখেছিল এবং তাকে অন্য একজনের সাথেও এমন সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করছে। অভিযোগকারী ওই নারীকে যৌন হয়রানি করেছে ৯ জন।
তথ্য অনুযায়ী, কেরালার কোট্টায়াম জেলায় বসবাসকারী এক মহিলা কারুকাচল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করছেন। সে তার সাথে বিকৃত যৌন সম্পর্কও করেছে। মহিলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তার স্বামী ও বন্ধুদের গ্রেফতার করেছে।
এই গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তদন্তে নেমে খোঁজ পায় ‘পার্টনার এক্সচেঞ্জ র্যাকেট’ এর। জানা গেছে এক হাজারেরও বেশি দম্পতি ‘পার্টনার এক্সচেঞ্জ র্যাকেট’-এর সঙ্গে জড়িত এবং বিশেষ করে নারীদেরই যৌন সম্পর্কের জন্য বিনিময় করা হত। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্য ২৫ জন নজরদারিতে রয়েছে। আগামী দিনে আরও গ্রেপ্তার হতে পারে।
পুলিশের মতে, এই পুরো ‘সেক্স এক্সচেঞ্জ র্যাকেট’ চলে টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য অনলাইন মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে। কোট্টায়াম জেলার একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে বলেছেন, “প্রথমে এই লোকেরা টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য মেসেঞ্জার গ্রুপে যোগ দেয় এবং তারপরে দুই বা তিনজন দম্পতি একে অপরের সাথে দেখা করে। এর পর নারী বিনিময় হয়। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে একজন মহিলা একই সময়ে তিনটি ভিন্ন পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। এই র্যাকেটে টাকাও লেনদেন হয়।অনেকে অর্থের জন্য তাদের স্ত্রীদের অবিবাহিত পুরুষের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে বাধ্য করে।”