ঠিক কতটা ভয়ের ওমিক্রন? এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সব মহল। অনেকেই বলছেন এঁকে পাত্তা দেওয়ার মতো কিছুই নেই। ওমিক্রনে তেমন কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। সম্প্রতি আমেরিকাতে হওয়া এক সমীক্ষা এই কথা কিন্তু মানছে না।
সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল আমেরিকার সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের তরফে। এই সমীক্ষাটি চালানো হয় দেশের বড় তিনটি শহর— নিউ ইয়র্ক সিটি, বস্টন এবং শিকাগো নিয়ে। এই সমীক্ষাটি করা হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে। তাতে দেখা গিয়েছে, দেশের মৃত্যুর হার মোটেই খুব একটা কমেনি ওমিক্রনের ফলে। বরং মৃত্যুর হার যেখানে পৌঁছে গিয়েছিল গত শীতে, প্রায় সেখানেই এবারেও পৌঁছে যাচ্ছে।
এই সমীক্ষা থেকে আরও যা যা উঠে এসেছে:
এবারে কোভিড সংক্রমণ ছড়ানোর হার বেড়ে গিয়েছে গত বারের থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন এর কারণও। দ্রুত ছড়াচ্ছে এটি। তাই মানুষ এবার সংক্রমিত হয়েছেন আগের বারের চেয়ে বেশি।
পাশাপাশি এটাও জানিয়েছেন কয়েক জন চিকিৎসক, এবারে কোভিড সংক্রমিত অনেকের স্বাস্থ্যের হাল কিছুটা ভালো আগের বারের চেয়ে।
এবারে আগের বারের চেয়ে কিছুটা কম ভেন্টিলেশনে রাখা রোগীর সংখ্যা। যদিও আগের বারের চেয়ে এবারে বেশি হাসাপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা। তাই এবারে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চাপ বেশি।
আগের বারের চেয়ে বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং রেকর্ড সংখ্যক কর্মী চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন এবারে। ফলে এবার অনেকেরই স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়াটা কিছুটা চাপের হয়ে গিয়েছে সংক্রমিতদের।
পুরো টিকাকরণ হয়েছে যাঁদের, তাঁদের ক্ষেত্রে খুব বেশি উদ্বেগের হচ্ছে না কোভিডের সংক্রমণ। কিন্তু পুরো টিকাকরণ হয়নি যাঁদের তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা মারাত্মক হারে বাড়ছে।
এই পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ১২ শতাংশের বয়স ৬৫-র ওপরে আমেরিকার জনসংখ্যার, এবং তাঁদের টিকাকরণ পুরোপুরি হয়নি। কোভিডে ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন এই জনসংখ্যার বড় অংশ এবং সবচেয়ে বেশি তাঁদেরই মৃত্যুর হার। এবং এটিও ওমিক্রনের কারণেই। তাই হাল্কা ভাবে নেওয়া যাবে না ওমিক্রনকে— এই সমীক্ষার রিপোর্টে তা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।