শাস্তি করলে সাজা পেতে হবে কমবেশি এমনটাই বিচার ব্যবস্থা গোটা পৃথিবীর প্রতিটি দেশের। কিন্তু যদি বিচারক আসামির সাজা ঘোষণার সময় কষ্ট পান, তাহলে তিনি ব্যথিত হবেন। কিন্তু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত ব্যক্তিকে চুম্বন করবেন এটা একটু অবাক করা, এটা কি ভাবা যায়? আর্জেন্টিনায় এমন এক ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ধরা পড়েছে সাথে সেটি ভাইরালও হয়েছে।
আসলে সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল? এক মহিলার সঙ্গে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল সিসিটিভি ফুটেজে এক পুলিশকর্মীকে খুনের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু পরে, ভিডিওর মহিলা যে একজন বিচারক তা জানা যায়। কেবল বিচারকই নন, তিনি অপরাধীকে সাজাদানের রায় ঘোষণা করা প্যানেলেরও সদস্য। তবে একমাত্র এই মহিলা বিচারকই প্যানেলে বিরোধিতা করেছিলেন আসামীর শাস্তির।
মারিয়েল সুয়ারেজ আর্জেন্টিনার (Argentina) এই মহিলা বিচারকের নাম। তাঁর অবশ্য দাবি, তিনি মোটেই ক্রিস্টিয়ান বাস্টোসকে চুম্বন করেননি ক্যামেরা ভুল অ্যাঙ্গল থেকে দেখাচ্ছে বলে এমনটা মনে হলেও। তাঁর দাবি, তিনি নাকি একটি বই লিখছেন বাস্টোসের উপরে। জেলের ভিতরে যেতে হয়েছিল তাঁকে সেই বিষয়েই কথা বলতে। তিনি আসামীর কাছাকাছি বসে তার কথা শুনছিলেন। কিন্তু সেটা অন্যরকম মনে হচ্ছে ক্যামেরার ভ্রান্তিতে।
তবে যাই বলুন না কেন তিনি, এমন ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। তাঁকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে এই কাণ্ডের জন্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
জানা যাচ্ছে, এক পুলিশ অফিসারকে গুলি করে মারে বাস্টোস ২০০৯ সালে। তার সৎ ভাইয়েরও তার গুলিতে মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নিয়ে মামলা চলছিল সেই থেকেই। অবশেষে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনানো হয় গত সপ্তাহে দোষী সাব্যস্ত হওয়া বাস্টোসকে। জেলের ভিতরে বিচারকের সঙ্গে চুম্বনে লিপ্ত হয়ে ফের শিরোনামে উঠে এল বাস্টোস এর কয়েক দিনের মধ্যেই, আদালত যাকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক বন্দি’ বলে দেগে দিয়েছে। তবে এবার আর অপরাধ নয়, বরং তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে সম্পূর্ণ অন্য কারণে।