বলিউডে আজকাল বেশ সাহসী আর যৌনতায় পরিপূর্ন ছবি তৈরি হচ্ছে। হেট স্টোরি ৩, কেয়া কুল হ্যায় হাম ৩, মস্তিজাদে এবং গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি-এর মতো ছবিতে নানা সেক্সী আর সাহসী দৃশ্য দেখা গেছে। সাহসী দৃশ্য ছাড়াও, এখন বলিউডের চলচ্চিত্র নির্মাতারাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন যে ছবিতে আইটেম নম্বরের সাথে একটি হট গান থাকতে হবে যা পাবলিককে শিহরিত করবে।
দিনে দিনে সাহসী দৃশ্যগুলো আরও সাহসী হয়ে উঠছে। সাহসী এই দৃশ্যগুলো দেখার পর সবার মনে একটাই প্রশ্ন আসে কীভাবে এই দৃশ্যগুলোর শুটিং হয়? এত মানুষের সামনে কীভাবে এই দৃশ্যে অভিনয় করতে পেরেছেন অভিনেতা অভিনেত্রী? বলিউডে কীভাবে সাহসী দৃশ্যের শুটিং করা হয় তা তাহলে শুনুন!
বলিউডে সাহসী দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় অনেক যত্ন নেওয়া হয়। হট দৃশ্যের শুটিংয়ের সময়, শুধুমাত্র পরিচালক এবং ক্যামেরাম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থাকেন। বাকি সবাইকে সেট থেকে বের করে দেওয়া হয়। রাধিকা আপ্টেকে নিয়ে একটি শর্ট ফিল্মের শুটিং করেছেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। তাতে একটি খুব সাহসী দৃশ্য ছিল।
একটি দৃশ্যে রাধিকাকে তার পোশাক পুরোপুরি তুলতে হয়েছিল। এই দৃশ্যের জন্য অনুরাগ টেকনিশিয়ানও নিয়োগ করেছিলেন। বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সেটে থাকার কথা মাথায় রেখে বন্ধ ঘরে এ ধরনের দৃশ্যের শুটিং করা হয়। অনেক বড় অভিনেত্রী মানুষের সামনে দৃশ্য এর টেক দিতে লজ্জা পান। এছাড়াও অভিনেতা অথবা অভিনেত্রীরা দৃশ্যের ‘চাহিদা’ পূরণে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করলে কখনো কখনো বডি ডাবল ব্যবহার করেন। এর মানে হলো অনেকটা তাদের মতন দেখতে অন্য ব্যাক্তিরা এই সমস্ত সাহসী দৃশ্যের টেক দিয়ে থাকেন।
আর কেবলমাত্র সেই লোকেরাই ঘরে থাকে যারা দৃশ্যটি শুট করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যেমন –
•ক্যামেরাম্যান (অবশ্যই)
•পরিচালক
•অভিনেতা এবং অভিনেত্রী
• পরিচালকের সহকারী ১ বা ২জন।
• লাইটিং ক্রু (পরিচালকের চাহিদা অনুযায়ী আলো ফোকাস করতে)।
• সেক্স কোরিওগ্রাফার:
কিছু চরম অন্তরঙ্গ দৃশ্যে এমন কোরিওগ্রাফার এর (তারা অভিনেতাদের গাইড করে) প্রয়োজন পরে।
সেক্সী এবং সাহসী দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় 5-6 জনের বেশি লোকের থাকার অনুমতি থাকে। যাতে অভিনেতা অভিনেত্রীরা লজ্জা বা অস্বস্তি বোধ না করেন।