Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

ছাগলে খেল ধান, আর তার কারণে মর্মান্তিক ভাবে মৃত্যু হল ৬ মাসের শিশুর! ঘটনাটা ঠিক কী?

পশুপাখির বোধ নেই তাই না বুঝে ছাগলে ধান খেয়ে নিল বাড়ির। আর তা নিয়ে বেঁধে গেল দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিশাল ঝগড়া। কিন্তু মর্মান্তিক ভাবেই এই ঝগড়ার বলি হতে হল ৬ মাসের এক দুধের শিশুকে। কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে একরত্তি শিশুকে আছড়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পাণ্ডুয়ার শিখিরা চাঁপতার হরিদাপুর এলাকায়।

হরিদাসপুর গ্রামে বসবাস করেন বাপি সরেন এবং তাঁর স্ত্রী আরতি সরেন। তাঁদের প্রতিবেশী হলেন নাসিম আলি ও মফিজা খাতুন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নাসিম আলির বেশ কয়েকটি ছাগল আছে। তাঁর ছাগলগুলো বেশিরভাগ সময়ে ছাড়াই থাকে বলে জানা গিয়েছে। একদম পাশাপাশি বাড়ি বাপি সরেনের। তাই ছাগল কখনো সখনো নাসিম আলীর বাড়ির চৌহুদ্দি পেরিয়ে পৌঁছে যায় বাপি সরেনের উঠোনেও। ধান খেয়ে নেয়। এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বেও দুই বাড়ির মধ্যে বেঁধেছে ঝামেলা। কিন্তু তা কখনো মাত্রা ছাড়ায়নি। কিন্তু মঙ্গলবার তা চরম সীমায় পৌঁছয়।

সূত্র অনুযায়ী সেই দিন দুপুরে ধান শুকাতে দিয়েছিলেন বাপি সরেন। আর তাদের অভিযোগ যে নাসিম এর ছাগল ধান খাচ্ছে দেখতে পেলেও বাঁধা দেননি তাঁর স্ত্রী। এই নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের ঝামেলা। বচসা বাঁধতে বাঁধতে এতটাই চরমে ওঠে যে অভিযোগ নাসিমের স্ত্রী মাফিজার হাতে যে ছাগল তাড়ানো লাঠি ছিল, সেই লাঠি দিয়ে বাপি সরেনকে আঘাত করেন তিনি। বাপির স্ত্রী আরতি আটকাতে গেলে তাঁর কোলের ৬ মাসের শিশুকে মাফিজা তাঁর কোল থেকে কেড়ে নিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেন।

মাথায় আঘাত লাগে শিশুটির। আহত শিশুটিকে সাথে সাথেই পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় । কিন্তু বাড়ী নিয়ে আসার পর শিশুটির শারীরিক অবস্থার খারাপ হয়, শুরু হয় বমি। তাকে আবারও পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে রেফার করেন। শিশুটির মা আরতির জানিয়েছেন চিকিৎসকরা বলেছিল, ছেলের মাথায় চোট গুরুতর।

শিশুটির মা আরতির বক্তব্য অনুযায়ী, “ ঘটনার দিন থেকেই আমার ছেলের শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন ওর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। বাড়ি নিয়ে এসেছিলাম। তারপর থেকে শুরু হয় বমি। ওরা আমার বাচ্চাকে কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলেছিল। আমাদের বাচ্চাকে শেষ করে দিল। বাঁচাতে পারলাম না।” শোকে মুহ্যমান বাবা বাপি।

এই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুটির বাবা মা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাসিম ও তাঁর স্ত্রী। পান্ডুয়া থানার পুলিশ অবশ্য বলেছেন তাদের কাছে এখনও লিখিত অভিযোগ আইনি। আসলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

Related posts

ডেটিং অ্যাপে ১৬ জন যুবককে ফাঁসিয়ে করেছে তাদের সর্বনাশ! তরুণীর কীর্তিতে স্তম্ভিত সকলে

News Desk

গলায় মাছের কাঁটা বিঁধেছে? জানুন কাঁটা বার করার চটজলদি সমাধান

News Desk

দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন, দেশে ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রনের শিকার ১৩৫

News Desk