এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহে উদ্ধার হল ঘর থেকে। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বুধবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-২ নম্বর ব্লকে। ধর্ষণ করে খুন করা হয়েচ্ছে ওই মহিলাকে বলে অভিযোগ। সমস্ত গ্রামবাসী এই ঘটনার তদন্ত এবং শীঘ্রই গ্রেফতার করতে হবে অভিযুক্তকে বলে প্রতিবাদ করছে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ সূত্রে যা জানা গিয়েছে মৃতার নাম পার্বতী রায় (৩৭)। ঘরের ভিতর থেকেই এগরা-২ নম্বর ব্লকের দুবদার শাখাপাদা গ্রামের গৃহবধূ পার্বতীর অর্ধনগ্ন দেহ পাওয়া য়ায়। তার মাটির ঘরের একাংশ ভাঙা ছিল। পার্বতীকে ধর্ষণ করে খুন করেছে এলাকার মদ্যপরা বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। এগরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পার্বতী রায় এগরা-২ নম্বর ব্লকের দুবদার শাখাপাদা গ্রামের ২৭৩ নম্বর বুথ এলাকার বাসিন্দা। গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি তাঁর স্বামী নির্মল রায় একজন মাতাল। স্থানীয়দের মতে, তাঁর কোনও খোঁজখবর নেই দীর্ঘদিন ধরেই। ছেলে রয়েছে পার্বতীর। কিন্তু, সে মুম্বইয়ে থাকে কাজের সূত্রে। ফলে একাই থাকতেন দুবদার শাখাপদা গ্রামের কুঁড়েঘরে পার্বতী। তিনি খুড়িবাড়ি এলাকায় দিনমজুরির কাজ করতেন। এদিন সকালে প্রথমে পার্বতীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর সহকর্মীরাই।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজকুমার দলুই বলেন, ‘ খুড়িবাড়িতে দিনমজুরির কাজ করতে যেতেন পার্বতী রায় গ্রামেরই কিছু মহিলার সঙ্গে। এদিন গ্রামের মহিলারা তাঁকে বাড়িতে ডাকতে যান সকালে কাজে যাওয়ার জন্যই। তাঁরা বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করলে দেখতে পান ডাকাডাকি করেও পার্বতীর সাড়া না পাওয়ায়, মাটির ঘরের একাংশ ভেঙে রয়েছে। তাঁরা ঘরের ভিতর ঢুকে দেখেন, পার্বতী অস্বাভাবিক অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছেন। তারপর তাঁরা সামনে গিয়ে বুঝতে পারেন, মৃত্যু হয়েছে পার্বতী রায়ের।’
উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকায়। গ্রামবাসী জানান, পরনের কাপড় ঠিক ছিল না পার্বতীর দেহে। তাই তাঁদের অনুমান, একা থাকার সুযোগ নিয়ে এলাকার মদ্যপরা রাতের অন্ধকারে পার্বতীর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। দুবদার শাখাপদা গ্রামের বাসিন্দারা ঘটনার তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন। এদিন তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগরা থানার পুলিশ খবর পেয়ে। উত্তেজিত জনতাকে তদন্তের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করে পুলিশ। ময়নাতদন্তে পাঠায় পার্বতীর দেহটি উদ্ধার করে । পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই।