ঘিঞ্জি পরিবেশে যথাসম্ভব মানব ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য তেলেঙ্গানা সরকারকে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক এবং ডিজিসিএ। যদিও পরীক্ষামূলক ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতেই এই ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজিসিএ। মনে করা হচ্ছে ড্রোনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিলে তা দ্রুত এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যাবে এবং তাও সংক্রমণ এড়িয়ে, এমন চিন্তাভাবনা থেকেই ড্রোন ব্যবহারের পরীক্ষামূলক অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে খবর। তবে এই অনুমতি আপাতত দেওয়া হয়েছে মাত্র এক বছরের জন্য। তার পরে ওই অনুমোদনের জন্য ফের আবেদন করাতে হবে নতুন অনুমতির জন্যে।
তবে যে এই ড্রোন যেকোনো জায়গা তেই ব্যাবহারের অনুমতি মেলেনি। যেখানে বিনা ড্রোনেই ভ্যাকসিন পাঠানো যাবে না বা যেখানে ঘিঞ্জি এলাকা বা ভীষণ জরুরী, একমাত্র সেখানেই ড্রোনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা যাবে। আইসিএমআর-কে কানপুর আইআইটি-র সঙ্গে যৌথ ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহের এই উদ্যোগে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।
ডিজিসিএ-র এক আধিকারিক জানান, “ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার কাজে দ্রুততা আনতেই এই পারমিশন দেওয়া হয়েছে। এতে ঘিঞ্জি এবং অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় সব থেকে কম মানব-ছোঁয়াচে ভ্যাকসিন পাঠানো যাবে। অন্য দিকে, এই উপায়ে দুর্গম জায়গাতেও খুব সহজে ড্রোনের দ্বারা নির্দিষ্ট স্থানে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যাবে।”
তবে সব ক্ষেত্রেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এক বছরের জন্যে। এই অভিনব উপায় কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।