করোনার আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা মানুষের। একের পর এক নয়া প্রজাতি নিয়ে খাড়া করছে করোনা। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট একেই অনেক আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই কয়েক মাসে, এরপর আবার এই ওমিক্রন আতঙ্ক ঘিরে ফেলেছে বিশ্ববাসীকে। এই করোনার নয়া প্রজাতি ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৯১টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার শুধু ভারতেই ২০০ জন অতিক্রম করে গেছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিটি রাজ্যেই ওমিক্রনের সংখ্যা অত্যাধিক মাত্রায় বাড়ছে। নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ভাইরাসের এই নয়া প্রজাতি বিশেষ করে কেরল ও মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতেও। কলকাতাও বাকি থাকলো না এখনও।
খোঁজ মিলল রাজ্যে দু’জন ওমিক্রন আক্রান্তের । ওমিক্রন পজিটিভ এসেছে কোভিড আক্রান্ত দুই ব্যক্তির জিন পরীক্ষার ফল । রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ তিন জনের জিন পরীক্ষার ফল এসেছে বুধবার। ওমিক্রনে আক্রান্ত এর মধ্যে দু’জন। কোভিডের ডেল্টা রূপে আক্রান্ত অন্য জন।’’
ঐ দুজন আক্রান্তের মধ্যে একজন নাইজেরিয়া থেকে , অন্য জন ব্রিটেন থেকে ওমিক্রন এসেছিলেন। ব্রিটেন থেকে আগতের বয়স ২০ বছর স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানা গেছে। আলিপুরের বাসিন্দা তিনি। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
৬৯ বছর বয়স অন্য আক্রান্তের। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। জানা গিয়েছে, নাইজেরিয়া থেকে আগত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় শারীরিক ভাবে সুস্থ হওয়ায়। কিন্তু ফের তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওমিক্রন পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায়।
তিনটি নমুনা পাঠানো হয়েছিল জেনোম সিকোয়েন্সিয়ের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। দুটোতে ওমিক্রন (Omicron) ধরা পড়েছে যার মধ্যে। করোনার ডেল্টা প্রজাতিতে একজন আক্রান্ত। এদের প্রত্যেককেই কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আক্রান্তরা কাঁদের কাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন গত কয়েকদিনে, সেই খোঁজ শুরু হয়েছে।
গতকালই নতুন করে একটি গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে নবান্নের তরফে ওমিক্রন মোকাবিলায়। এবার রাজ্যে বিদেশ থেকে এলে ১৪ দিনের নিভৃতবাসে থাকতেই হবে। নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন জানিয়েছে। এছাড়া ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দেশে দুশো ছাড়িয়ে গেল। এ পর্যন্ত ২১৩ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য মতে। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে। তার পরই রয়েছে দিল্লি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি পর্যালোচনা বৈঠকে এ নিয়ে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।