প্রথম দেখাতে যে প্রেম হয় তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই পর্দায় যখন প্রথম দেখেছিলেন তখনই প্রেমে পরে যান তিনি। যেভাবে মুগ্ধ হয়েছিলেন তার রেশ আজও আছে। এখনও সেই বলিনায়িকা রাজত্ব করছেন বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজক বনি কাপুরের মনের মধ্যে। কিন্তু তিনি তার স্ত্রী শ্রীদেবী নন। তিনি হলেন শর্মিলা ঠাকুর।
সম্প্রতি একটি ছবি দিয়েছেন বনি, বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সঙ্গে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন মুগ্ধতা মাত্র দু’টি শব্দ দিয়ে। তিনি এও লিখেছেন, ‘আমার প্রথম প্রেম’। ছবিতে শর্মিলা, বনির পাশে দাঁড়িয়ে দেখা যাচ্ছে। অভিনেত্রীর কাঁধে বনির হাত। উজ্জ্বল হাসি দু’জনের মুখেই। তাঁদের অনুরাগীরাও এক ফ্রেমে বলিউডের দুই তারকাকে দেখে আপ্লুত।
একসময় বলিউডে বহু গুঞ্জন ঘোরফেরা করেছে প্রযোজক বনি কাপুর এবং অভিনেত্রী শ্রীদেবীর সম্পর্ক নিয়ে। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে শ্রীদেবীর প্রেমের চর্চা আশির দশকে ছিল বলিউডের হটকেক, এরপর শ্রীদেবীর জীবনে আচমকাই এন্ট্রি নেন বিবাহিত বনি কাপুর। জানা যায়, বনি কাপুর ঠিক করেন তিনি তাঁর প্রোডাকশন হাউসে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ সিনেমায় তাঁকে কাস্টিং করবেন শ্রীদেবীর ‘ষোলা সাওয়ান’ (১৯৭৯) দেখার পরই। কারণ শ্রীদেবী কে তামিল ছবিতে দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন বনি।
জানা যায় প্রথমদিকে বনি কাপুরের প্রথমা স্ত্রী মোনার ভাল বন্ধু ছিলেন শ্রীদেবী। তাঁর ঘন ঘন যাতায়াতও ছিল বনির বাড়িতে। অবশ্য বনি কাপুরকে প্রথমদিকে দাদা বলতেন শ্রীদেবী। এমনি বনিকে রাখিও বেঁধে ছিলেন অভিনেত্রী বলে জানা যায়। শ্রীদেবী যখন মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে থাকছিলেন ১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণের পর, তখন বনি শ্রীদেবীকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান অভিনেত্রীর মাকে রাজি করিয়ে। তখন শ্রীদেবীর বন্ধু ছিলেন মোনা।
শ্রীদেবীকে প্রথমবার প্রেমের প্রস্তাব দেন বনি ১৯৯৩ সালে। অবশ্য অভিনেত্রী প্রথমে রাজি হননি, এমনকি তিনি নাকি ৮ মাস কথা বন্ধ করে দেন বনির সঙ্গে। পরে বিভিন্ন ঘটনায় ধীরে ধীরে তাঁরা কাছাকাছি আসেন। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন শ্রী বনির সঙ্গে সম্পর্কে। প্রায় ৮ বছরের ছোট শ্রীদেবীকে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন বনি কাপুর। ১৯৯৬ সালে ২ জুন
দুবাই-এর হোটেলের বাথটাব থেকে ২০১৮-র ২৪ ফেব্রুয়ারি উদ্ধার হয় শ্রীদেবীর দেহ। শেষপর্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর প্রথমপক্ষের দুই ছেলেমেয়ে অর্জুন কাপুর ও অংশুলা কাপুর পুরনো মান-অভিমান ভুলে বাবা বনি কাপুরের পাশে দাঁড়ান।