বছর শেষের সবচেয়ে বড় উৎসবের প্রস্ততি চলছে চারিদিকে। আর কয়েকদিন পর থেকেই চারিদিকে রঙবেরঙের আলো, তারা, ক্রিসমাস ট্রি আর সান্তাক্লজে সেজে উঠবে। শুধুমাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা, তারপরই শুরু হয়ে যাবে বড়দিন উদযাপন। বিশ্বজুড়ে মহা সমারোহে পালিত হয় এই উৎসব। ক্রিসমাস এমনই একটি উৎসব যার নাম শুনলেই ছোট থেকে বড় সবার মুখ খুশিতে ঝলমল করে ওঠে। ডিসেম্বরে শীত জাঁকিয়ে বসলেও বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠতে পিছপা হচ্ছেন না বিশ্ববাসী। কিন্তু পৃথিবীতে সব দেশেই উৎসবে মেতে উঠতে পারে না। কিছু কিছু দেশে ক্রিসমাস পালন করলে সেটি অপরাধ বলে গণ্য হয়। কিছু কিছু স্থানে নিষিদ্ধ বড়দিন পালন…
ব্রুনাই
রক্ষণশীল মুসলিম দেশ ব্রুনাইয়ে বড়দিন পালনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে দেশটির সুলতান হাসানুলের পক্ষ থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, কেউ অবৈধভাবে বড়দিন পালন করলে, শুভেচ্ছা বিনিময় করলে, সান্টার টুপি পরলে তাদের ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ক্রিসমাস মুসলিম সম্প্রদায়ের সত্য বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়াতে বড়দিন উপলক্ষে কোনো ছুটি দেওয়া হয় না। সারা বছরে তারা শুধু রাষ্ট্রনায়কের জন্মদিন উপলক্ষেই ছুটি পান এবং উৎসব পালন করতে পারেন। তবে বড়দিনের জন্য তাদের কোন ছুটি নেই।
সৌদি আরব
সৌদি আরবে শুধু বড়দিনই নয়, ইসলাম বাদে অন্য যে কোনো ধর্মের উৎসব উদযাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেখানে বড়দিন বা হ্যালোউইনের মতো উৎসবগুলোতে রাষ্ট্রীয় ছুটিও দেওয়া হয় না। এ বছর হ্যালোউইনে পার্টি করার অপরাধে ফিলিপিন্সের ১৭ জন নারীকে গ্রেপ্তার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১৩ সালেও বড়দিন উদযাপনের অপরাধে ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সোমালিয়া
সোমালিয়াতেও বড়দিন পালনে বাধা দেওয়া হয়। সেখানে বড়দিন ও নতুন বছরের কোন উৎসব পালন না করতে প্রচারণা চালানো হয়। তারা মনে করেন, অন্যধর্মের উৎসব পালন করলে মুসলিমদের ধর্ম বিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আলবেনিয়া
আলবেনিয়াতে একসময় যেকোনো ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের ওপরই নিষেধাজ্ঞা ছিল। ক্রিসমাস একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হওয়ায় এটি পালনেও বাধা দিয়েছিল দেশটির প্রশাসন। ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত সেখানকার খ্রিস্টানরা কেবলমাত্র নিজেদের বাড়ির ভেতরেই বড়দিন পালন করতে পারতেন। ১৯৯১ সালে কমিউনিস্ট সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এ অবস্থার অবসান ঘটে।