Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

শীতকাল এলেই মনটা খারাপ হয়ে যায়, ভালো লাগে না কিছু? জানেন কী এটা আসলে এক রোগ?

শারীরিক অসুখ ছাড়াও ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কিছু মানুষ মানসিক রোগেও (Psychological Problem) মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। আর এই ঘটনা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। একে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার (Seasonal Affective Disorder) বা সংক্ষেপে এসএডি বলা হয়। বাংলায় মৌসুমী বিষণ্ণতা বলতেই পারেন।

সাধারণত শীতকালে এসএডি রোগ দেখা দেয়। এ সমস্যাকে অনেকেই শীতকালীন বিষণ্নতা (উইন্টার ডিপ্রেশন বা উইন্টার ব্লুজ) বলে থাকেন। কারণ, শীতের ভাব শুরু হলে সূর্যের আলো কমতে শুরু করায় মানুষের মেজাজ মারাত্মক রকম পরিবর্তন হয়ে যায়। এ সময় নানা রকম বিষণ্নতার উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এ ধরনের বিষণ্নতা শীতে শুরু হয়ে গ্রীষ্মের শুরু পর্যন্ত চলতে থাকে। অনেক সময় এটাকে গ্রীষ্মকালীন বিষণ্নতা বা মৌসুমি বিষণ্নতা বলা হয়। তবে বসন্ত বা গ্রীষ্ম মৌসুমে এ ধরনের ‘স্যাড’ উপসর্গে খুব কম মানুষ ভোগেন।

এই রোগের কারণে মানুষ হতাশ বোধ করতে শুরু করে এবং স্বাভাবিক ভাবেই তার হাত ধরে আসতে থাকে বিষণ্ণতা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আমেরিকায় ১ কোটির বেশি মানুষ মৌসুমী বিষণ্ণতায় অর্থাৎ এসএডি রোগে ভুগছেন। আবার ২.৫ কোটির বেশি মানুষের মধ্যে মৌসুমী বিষণ্ণতার হালকা লক্ষণগুলি দেখা যায়। তাই সেক্ষেত্রে তাকে এস এ ডি না বলে উইন্টার Blues বলা যেতে পারে।

ঋতুগত বিষণ্ণতার কারণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকলেও বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, ঋতু পরিবর্তনের (Season Change) সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরে কিছু হরমোনের তীব্র পরিবর্তন ঘটে যা মেজাজকে প্রভাবিত করে। ফলে সময় বিশেষে মানুষ না চাইলেও বিষণ্ণ বোধ করেন, হতাশায় ভোগেন। আবার কিছু কিছু জায়গায় এ-ও বলা হয়, শীত কালে সূর্যের আলো না থাকায় মস্তিষ্কে সেরোটোনিন রাসায়নিক কম হয়ে যায়, যার কারণে মেজাজ ক্ষিপ্ত বা বিষণ্ণ হতে শুরু করে।

স্যাড সমস্যার ভুক্তভোগী হঠাৎ করে বিষণ্নতা বা দুশ্চিন্তায় ভুগতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে আশাহত আবেগ কাজ করে। কোনো কাজে মনোযোগ বসাতে পারেন না। ঘুমে পরিবর্তন দেখা যায়। বেশি ঘুম বা না ঘুমানোর যেকোনো একটি সমস্যা তৈরি হয়। কার্বোহাইড্রেট-জাতীয় খাবার বেশি খেতে ইচ্ছা করে বলে ওজন বাড়তে থাকে। দুর্বল লাগে। নিজেকে পরিবার, বন্ধু ও সামাজিক কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয়। যৌনস্পৃহা কমে আসে। মনে আত্মহত্যার ঝোঁক চেপে বসে। শরীর অবসন্ন ও ক্লান্ত দেখায়। চোখ মেলতে ইচ্ছা করে না। এ ধরনের বিষণ্নতা শীতে শুরু হয়ে গ্রীষ্মের শুরু পর্যন্ত চলতে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, কোনো কোনো সময় সাধারণত মন খারাপ বা দুঃখভাব চলে আসতে পারে। কিন্তু অনেক দিন ধরে বিষণ্নতা চলতে থাকলে এবং কোনো কিছুতে মন বসাতে না পারলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। ‘স্যাড’ সমস্যা দূর করতে চিকিৎসা হিসেবে লাইট থেরাপি, ওষুধ ও সাইকোথেরাপি ব্যবহার করা হয়।

Related posts

৩ মাসের মেয়েকে প্রথমবার দেখতে ফিরছিলেন বাড়ি! ময়নাগুড়ির রেল দুর্ঘটনা কেড়ে নিল বাবার প্রাণ

News Desk

মহিষাদলে দেনার দায়ে ডুবে নাবালিকা মেয়েকে বিক্রি করে দিল নেশাগ্রস্ত বাবা! তারপর..

News Desk

বাংলার এই জেলায় প্রতি তৃতীয় দিনে একজন কৃষক আত্মহত্যার পথ বাছছেন, চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান

News Desk