সন্তানের দুটি কিডনিই বিকল। ছেলের প্রাণ বাচাতে নিজের সর্বস্ব টা দিতে প্রস্তুত বাবা-মা। ইতিমধ্যেই ছেলের জন্য নিজের কিডনি দিতে চাইছেন মা। ছেলের প্রাণটা তো বাঁচুক। কিন্তু কিডনি দান করাই যে সবকিছু নয়। কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হলে দরকার পরে জটিল অস্ত্রপচারে। আর সেই জন্য খরচ নেহাত কম না। আর সেই খরচের যোগান দিতেই দিশেহারা ছেলের দিনমজুর বাবা ধুপগুড়ির পূর্ব ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু রায়। ছেলের চিকিত্সার জন্য ইতিমধ্যেই নিজেদের যথাসর্বস্য বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন একটাই উপায় আছে হাতে। কিডনি প্রতিস্থাপন! সেখানেও অর্থ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অন্তরায়। জী ২৪ ঘণ্টায় প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এনাদের কাহিনী।
পেশায় দিন মজুর দীনবন্ধু রায়। দুরারোগ্য ব্যাধিতে ছেলে সুকুমারের দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে গিয়েছে। চিকিত্সকরা জানিয়ে দিয়েছেন সামনে কিডনি প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ছেলের চিকিৎসার জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন দিকবিদিক। বিক্রী করে দিয়েছেন নিজের সহায়-সম্বল যা কিছু জমি ভিটে, বাড়ী। কিন্তু শিলিগুড়ি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আশ্রয় খুঁইয়ে এখন বাস করতে হচ্ছে গাদং হিমঘর সংলগ্ন এলাকায় এক ঝুপরিতে। পরিবারে ছেলে সুকুমার ছাড়াও রয়েছে আরো দুই মেয়ে ও স্ত্রী। দিনমজুরের কাজ করে অর্থের যোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে দীনবন্ধু বাবুর পক্ষে।
সুকুমারের দুটো কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন একটাই রাস্তা কিডনি প্রতিস্থাপন। ছেলেকে নিজের কিডনি দিতে চান দীনবন্ধুবাবুর স্ত্রী। পরিবারের আশা তাতে যদি বেচে যায় তাদের একমাত্র ছেলে। কিন্তু ছেলেকে মা কিডনি দিয়ে দিতে চাইলেও অপারেশনের খরচ যে নেই তাদের কাছে। যে প্রচুর অর্থের দরকার ওই অপারেশনের জন্য সেই টাকা জোগাড় করা দীনবন্ধুর পরিবারের পক্ষে কার্যত অসম্ভব। এখন একটাই রাস্তা, কোনো স্বহৃদয় ব্যক্তি বা কোন সংস্থা যদি এই অপারেশনের খরচ যোগাতে এগিয়ে আসেন। তারই জন্য সকলের কাছে বিনীত কাতর আবেদন করছেন দীনবন্ধু ও তাঁর স্ত্রী।