Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’ আদতে কতটা ভয়ংকর! ভ্যাকসিন কি রুখতে পারবে

করোনা নতুন ধরণ ওমিক্রন (Omicron) ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছে। দু’দিনে আগেই ওমিক্রনের সংক্রমণ-তালিকাভুক্ত ছিল ১২টি দেশ। আর নতুন প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, অন্তত ৩০টি দেশে ঢুকে পড়েছে করোনার নতুন বিপজ্জনক স্ট্রেনটি। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের নামও। যদিও আমাদের ভারতে এর প্রভাব এখনও খুব একটা পরেনি বললেই চলে তবে পড়তে কতক্ষণ? ওমিক্রন ভাইরাসটি করোনা ভাইরাসেরই নতুন একটি রূপ। এই সম্পর্কে সারা দুনিয়ায় জোরকদমে গবেষণা শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু কি এই ওমিক্রন প্রজাতি। সেটিকে ঘিরে কেনই বা বিশ্ব জুড়ে এত চূড়ান্ত সতর্কতা , আলোচনা? জেনে নিন..

করোনার ওমিক্রন প্রজাতি কি?

বতসোয়ানা এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় (Botswana and South Africa) প্রথম শনাক্ত হওয়া, করোনাভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি আবারও করোনা মহামারী নিয়ে বিজ্ঞানী এবং জনস্বাস্থ্য আধিকারিকদের মধ্যে প্রচন্ড উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এর কারণ এই নতুন ধরনটি অস্বাভাবিকভাবে বহু বার মিউটেশনের কারণে আরও সংক্রামক হয়ে উঠেছে। গবেষণায় দেখা গেছে মোট ৩২ বার এর স্পাইক প্রোটিনের জিনগত কাঠামোতে পরিবর্তন হয়েছে। এর জিনগত রূপ পরিবর্তনের ধাপ এত দীর্ঘ যে একজন বিজ্ঞানী এই প্রজাতিকে ভয়াবহ বলে বর্ণনা করেছেন। অপর এক বিজ্ঞানী বলেছেন, তাঁর দেখা করোনা প্রজাতির মধ্যে নতুন এই ওমিক্রন ধরন (SARS-CoV-2 Omicron variant) সবচেয়ে মারাত্মক।

কেন এত সংক্রামক হয়ে উঠছে?

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজ়িজ় প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ (ইসিডিসি) সম্ভাব্য সম্ভাবনা হিসেবে জানিয়েছে, যে গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন, শীঘ্রই ডেল্টার জায়গায় এটিই বিশ্বে ‘ডমিন্যান্ট’ বা মূল সংক্রামক করোনা স্ট্রেন হয়ে উঠবে।

২০২০ সালের শুরুতে যখন পৃথিবী জুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারী (Corona Virus Pandemic) রূপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল, সেই সময় এই মারণ ভাইরাস জিনগত পরিবর্তনের (মিউটেশন) মাধ্যমে নিজের রূপে ও চরিত্রে বদল আনতে শুরু করল। মিউটেড হয়ে কোনো রূপ চিন্তার কারণ (ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন) হয়ে উঠল, কোনওটি আবার পরিবর্তিত হয়ে দুর্বল হয়ে কেবল ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট’ হয়ে রয়ে গেল সেই ভাবে সংক্রামক হল না। করোনা ভাইরাসের নতুন যে রূপ সারা দুনিয়া জুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল সেটি ছিল ডেল্টা প্রজাতি। বিশেষত ভারতে করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের পেছনে ছিল এই নতুন প্রজাতির হাত। বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়েছিল। একাধিক করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে তা এই ডেল্টা প্রজাতিকে রোখার কাজ চলছে, কিন্তু ফের নতুন প্রজাতি ‘ওমিক্রন’। স্পাইক প্রোটিনে পরিবর্তন ঘটিয়ে চরিত্রে আগের প্রজাতির থেকে অনেকটাই আলাদা। গবেষণা জানিয়েছে এই ভাইরাসের ফিউরিন (একটি প্রোটিয়েজ উৎসেচক) ক্লিভেজ সাইটেও মিউটেশন হয়েছে ৩ বার। উদ্বেগের কারণ এখানেই! এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে যে কটি করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে তা কোনওটি করোনার জিনের চরিত্রের উপর ভিত্তি করে, কোনওটি স্পাইক প্রোটিনের গঠনের ওপর নির্ভর করে হয়েছে। আর এই কারণে টিকা এই ভাইরাসের উপর কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।

সর্বশেষ বলা যায় এই ভাইরাসের নতুন রূপ ঘিরে বহু জল্পনা থাকলেও স্পষ্ট উত্তর এখনই পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে ফের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা।

Related posts

খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড়ের নাম নলেন গুড় কেন রাখা হলো! জানা আছে?

News Desk

‘সাবধান! ঘরে দেশলাই জ্বালাবেন না’, ঘরকে গ্যাস চেম্বারে বানিয়ে পরিবার ঘটালো মর্মান্তিক ঘটনা

News Desk