বর্তমান যুগে ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসি এরকম বহু ফাস্টফুড চেইন এর বার্গার, ফ্রাই, সোডা, ইত্যাদি বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেরই বেশ প্রিয়। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এই খাবারগুলো পেটে গিয়ে আপনার পাকস্থলী বা লিভার এর কি হাল করছে?
আমাদের শরীরে লিভার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তাই সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য লিভারকে সুস্থ রাখতে হবে। কিন্তু আমাদের জীবনযাপনে ত্রুটি থাকলে লিভার সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। লিভারকে সুস্থ রাখতে চাইলে কিছু খাবারের প্রতি মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি কিছু খাবারকে উপেক্ষা করতে হবে। এখানে লিভারের সুস্থতায় কী খাবেন না তার একটি তালিকা দেয়া হলো।
লিভারের সুস্থতায় যা খাবেন না
- স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত খাবার যেমন বার্গার বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই:
লিভারকে সুস্থ রাখার ডায়েটে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ও বার্গারের মতো চর্বিযুক্ত খাবার স্থান পাওয়ার যোগ্য নয়। লিভারে সমস্যা থাকলে এসব খাবার খাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেলে লিভারের পক্ষে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে। সময়ের আবর্তনে প্রদাহ সৃষ্টি হয়ে লিভারে সিরোসিস নামক স্কার তৈরি হতে পারে। তাই লিভারে সমস্যা থাকুক কিংবা না থাকুক, চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- চিনিযুক্ত খাবার: বেশি পরিমাণে চিনি খেলে পরিণামে লিভারকে ভুগতে হতে পারে। বিশেষ করে লিভারে রোগ থাকলে চিনিযুক্ত খাবার অবশ্যই সীমিত করতে হবে অথবা এড়িয়ে চলতে হবে। লিভার চিনিকে চর্বিতে রূপান্তর করে। তাই বেশি চিনি খেলে লিভার বেশি চর্বি তৈরি করবে। এটা দীর্ঘসময় পর ফ্যাটি লিভার ডিজিজে আক্রান্ত করতে পারে। মাঝেমধ্যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
- মদ জাতীয় পানীয়: অতিরিক্ত মদপানে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। সময় পরিক্রমায় মাদকাসক্ত লোকের লিভারে সিরোসিস হতে পারে। এমনকি মাঝেমধ্যে মদপানও ক্ষতিকারক হতে পারে। বৈশ্বিক গবেষণা মতে, এই ধরনের পানীয় পানের নিরাপদ মাত্রা নেই। তাই লিভারকে রক্ষার্থে মদপানের অভ্যাস ছাড়ার প্রতিজ্ঞা করুন।
- প্যাকেটজাত স্ন্যাকস: প্যাকেটজাত স্ন্যাকস হলো তুমুল জনপ্রিয় খাবার। এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো, এটা যে লিভারের ক্ষতি করে তা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব। সাধারণত চিপস ও বেকড ফুডসের মতো প্যাকেটজাত স্ন্যাকসে প্রচুর চিনি, লবণ ও চর্বি থাকে। এর পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খাওয়ার চেষ্টা করুন, যেমন- আপেল ও বাদাম।