Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

বৈশাখ নয় মুঘল আমলে অগ্রহায়ণ বা অঘ্রানই ছিল বছরের প্রথম মাস। কেন জানেন?

কাল পয়লা অঘ্রান। এই অঘ্রান মাসেই নবান্নে-উৎসবে মাতবে বাংলা। শস্য শ্যামলা গ্রাম-বাংলা ঘর ভরে উঠবে ফসলের গৌরবে। উৎসব ও নবান্নের সাজে পরিপূর্ণতা পাবে রূপসী বাংলা। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) শুরু হতে চলেছে আবহমান বাংলার উৎসবমুখর মাস অগ্রহায়ণ। আর্দ্রা তারার নাম অনুযায়ী এই মাসের নাম রাখা হয়েছে অগ্রহায়ণ। অগ্রহায়ণকে চলতি বাংলা ভাষায় ডাকা হয় অঘ্রান মাস নামে। পরিপূর্ণ ধানক্ষেতে ভরে ওঠা সুন্দর এ মাসটির আরেক নাম মার্গশীর্ষ। প্রাচীন বাংলা ভাষায় এই মাসটিকে আঘন নামেও চিহ্নিত করা হত। হেমন্ত ঋতুতে কার্তিকের পরই আসে সর্বজনীন লৌকিক উৎসব নবান্ন এর মাস অঘ্রাণ। অগ্রহায়ণ বা অঘ্রান বাংলা সন অনুযায়ী অষ্টম মাস এবং শকাব্দের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম মাস। এখন এটি বাংলা বছরের অষ্টম মাস হলেও একটা সময় অগ্রহায়ণ ছিল বছরের প্রথম মাস। ‘অগ্র’ শব্দের অর্থ ‘আগে’ আর ‘হায়ণ’ শব্দের মানে হচ্ছে ‘বছর’। বছরের শুরু এই মাসে হত বলেই এই মাসের নাম ‘অগ্রহায়ণ’। এটি হেমন্ত ঋতুর একটি মাস। “অগ্রহায়ণ” শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো বছরের সেই মাস যেই সময়ে শ্রেষ্ঠ ব্রীহি (ধান) উৎপন্ন হয়। প্রাচীন কালে যখন বিজ্ঞান ব্যাবস্থার এত উন্নতি হয়নি তখন মূলত এই সময়টিকেই প্রচুর ধান উৎপাদিত হত বলে এই মাসটিকেই বছরের প্রথম মাস ধরা হত।

অগ্রহায়ণ বা অঘ্রান বাংলা সন অনুযায়ী অষ্টম মাস এবং শকাব্দের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নবম মাস। এখন এটি বাংলা বছরের অষ্টম মাস হলেও একটা সময় অগ্রহায়ণ ছিল বছরের প্রথম মাস। ‘অগ্র’ শব্দের অর্থ ‘আগে’ আর ‘হায়ণ’ শব্দের মানে হচ্ছে ‘বছর’। বছরের শুরু এই মাসে হত বলেই এই মাসের নাম ‘অগ্রহায়ণ’। এটি হেমন্ত ঋতুর একটি মাস। “অগ্রহায়ণ” শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো বছরের সেই মাস যেই সময়ে শ্রেষ্ঠ ব্রীহি (ধান) উৎপন্ন হয়। প্রাচীন কালে যখন বিজ্ঞান ব্যাবস্থার এত উন্নতি হয়নি তখন মূলত এই সময়টিকেই প্রচুর ধান উৎপাদিত হত বলে এই মাসটিকেই বছরের প্রথম মাস ধরা হত।

যেমন ‘অগ্র’ ও ‘হায়ণ’ এই দুই অক্ষরের অর্থ যথাক্রমে ‘ধান’ ও ‘কাটার মওসুম’ বা ‘বছর’। মুঘল সম্রাট জালালউদ্দীন মহম্মদ আকবর এই অগ্রহায়ণ মাসকেই বছরের প্রথম মাস বলে ঘোষণা করেছিলেন। আর এই মাসেই ছিল খাজনা তোলার নিয়ম যেহেতু ধান উঠত ঘরে। মুঘল আমলে বাংলায় কার্তিক ছিল বছরের শেষ মাস এবং অগ্রহায়ণ ছিল প্রথম মাস। মুঘল আমলে পয়লা অগ্রহায়ণের দিন সম্রাট আকবর বাংলা প্রদেশের মানুষজনকে খাজনা দেওয়ার দিন হিসাবে নির্দেশ জারি করেন। কেননা নববর্ষ এর দিন এবং খাজনা আদায়ের মূল কারণ ছিল বাঙালির ঘরে উঠত ধান। এই সময় গৃহস্থের বাড়ির মড়াই ও গোলাগুলো ভরপুর শস্য থাকত। ইরানি জ্যোতিষবিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তাই আকবর এই সময়ে টোডরমলকে নির্দেশ দেন যে বঙ্গ দেশে প্রচার করতে পয়লা অগ্রহায়ণ বাঙালির নববর্ষ।

এখনও তাই পশ্চিমবঙ্গের গ্রাম বাংলায় অগ্রহায়ণ মাসকে ‘লক্ষ্মীর মাস’ মনে করা হয়। এই কারণে এই মাসেই নবান্ন উৎসব ও ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনার বিশেষ আয়োজন করা হয়। এই সময় অবধিও মাসের সঙ্গে রয়েছে ফসলের নিবিড় সম্পর্ক।

Related posts

সেক্স করার সময় কোন কোন কথা পাগল করে তোলে? সমীক্ষা কী বলছে

News Desk

এই গ্রামে পুরুষের সংখ্যা শূন্য!‌ তবু মহিলাদের গর্ভে আসে সন্তান। কি রহস্য লুকিয়ে আছে?

News Desk

টিকার আকাল,তৃতীয় ঢেউয়ের চোখরাঙানির মাঝেই কমল দেশে করোনা সংক্রমণ, অ্যাক্টিভ কেস

News Desk