নজির গড়তে রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুর পর এবারে নাম উঠে এলো ছত্তিশগড় রাজ্যের৷ শারীরিক সক্ষমতার মাপকাঠিতে তৃতীয় লিঙ্গের বা বৃহন্নলাদের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিল ছত্তিশগড় সরকার৷ বাকি রয়েছে শুধুমাত্র লিখিত পরীক্ষা৷ নিয়োগের প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ ছত্তিশগড় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই রাজ্যের মোট ২৭টি জেলায় কনস্টেবলের শূন্যপদে বৃহন্নলাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে পদ সংখ্যা৷ কনস্টেবল পদে নিয়োগ হওয়ার জন্য বৃহন্নলাদের শারীরিক সক্ষমতার মাপকাঠি কী হবে, তা এখনো জানায়নি ছত্তিশগড় পুলিশ৷ প্রসঙ্গত তৃতীয় লিঙ্গের সমানাধিকারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে বৃহন্নলরা আবেদন করার পর তাদের দাবিতে স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কোর্টের নির্দেশ আসার পর রাজস্থান ও তামিলনাড়ুতে পুলিশের চাকরিতে নিয়োগ হয়েছে মাত্র দু’জন বৃহন্নলা৷
নির্দেশের ভিত্তিতে তামিলনাড়ু ও রাজস্থানে পুলিশে চাকরি পান এই দুই বৃহন্নলা৷ এবার নিয়োগ করতে চলেছে ছত্তিশগড়ও৷ ছত্তিশগড় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ২৭টি জেলায় ৩৫ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ করার নোটিশ এসেছে ছত্তিশগড় পুলিশের তরফ থেকে৷ এই নিয়োগের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো কনস্টেবল পদে তৃতীয় লিঙ্গ মানুষদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷
জন্মসূত্রে ভিন্ন শারীরিক গঠনের জন্য বৃহন্নলা দের হেনস্তার শিকার হতে হয়৷ সমাজও আজও এদেরকে একঘরে করে রেখেছে৷ জীবন যাপনের জন্য বাধ্য হয়েই ভিক্ষা করে কিংবা নবজাতকের বাড়ি গিয়ে টাকা চেয়ে জীবন নির্বাহ করেন বৃহন্নলারা। কিন্তু, এদেশেরই নাগরিক হিসাবে আর মানুষ হিসেবেও তাদের কেন সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার থাকবে না? যোগ্যতার ভিত্তিতে কেনই বা তারা চাকরি করতে পারবেন না? এই দাবিতে দায়ের করা একটি মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে৷ সেই মামলায় বৃহন্নলাদের তৃতীয় লিঙ্গ বলে ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত এবং নির্দেশ দেন, তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার।