Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

মুদিওয়ালা থেকে ভিকোর প্রতিষ্ঠাতা! ভারতের অন্যতম ‘দেশী ব্র্যান্ড’ ভিকো কিভাবে এত জনপ্রিয় হল?

১৮ টি আয়ুর্বেদিক উপাদান দিয়ে তৈরি ভিকো মাজন প্রথম নজর কেড়েছিল গোটা দেশবাসীর। একটি ছোট হলুদ কৌটো যার ভেতরে রয়েছে পাউডার। সম্পূর্ণ ভেষজটির স্বাধীনতার পর থেকে আজকের এই উন্নত যুগেও চাহিদা সমান।

১৯৫২ সালে ভারতের প্রথম স্বাধীন ভোট গণনার সময় থেকে জন্ম হয়। কেশব পেনধকার যার হাত ধরেই জন্ম নেয় ভিকো। উনিশ শতকের যুগ থেকে আজও ভিকোর বিজ্ঞাপন চলে টিভি থেকে রেডিও এমনকি সিনেমাহলের পর্দাতেও। বিখ্যাত সেই জিংগেল যা কারো পক্ষেই বোধহয় ভোলা সম্ভব নয়। তবে ভিকোর যাত্রাপথ টা একটু অন্যরকম।

শুরুর ইতিহাস…

একজন সাধারন মুদিওয়ালা ছিলেন কেশব। নাগপুরে একটি ছোট মুদির দোকানে কাজ করে সংসার চালাতেন তিনি। হঠাৎ ঠিক করলেন এভাবে আর হচ্ছে না কিছু অন্যরকম ভাবতে হবে। নিজের উপর ভরসা রেখেই পাড়ি জমালেন মুম্বাই স্বপ্নের নগরীতে। বান্দ্রার ধারে খুললেন ছোট একটি ব্যবসা। স্বল্প পুঁজি, অদক্ষ মার্কেটিং স্কিল এবং চোখে একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ঠিক করলেন সম্পূর্ণ স্বদেশী একটি সংস্থা তৈরি করবেন। সেই সময় বাজারে এসে গিয়েছে পনডস্,নিভিয়া,আফগান স্নো ইত্যাদি প্রসাধনীর কোম্পানি। ভাবলেন যদি দেশের দ্রব্য নিয়ে দেশে একটি পণ্যের সংস্থা খুলে যায় তাহলে ক্ষতি কী! শুরু করলেন ভিকোর যাত্রাপথ। বিষ্ণু ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পানি খুললেন যার মূল মন্ত্র ছিল ক্যামিকাল মুক্ত আয়ুর্বেদিক দাঁতের মাজন তৈরি করা।

ভিকোর বর্তমান কর্ণধার সঞ্জীব জানাচ্ছেন, ভিকোর জন্ম হয়েছে তিন কামরার ছোট্ট একটি ঘরে। যার একটি রান্নাঘর এবং বাকি দুটি ঘর। রান্নাঘরকে বানানো হয়েছিল ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট । বাকি দুটি ঘরের একটি হলো গোডাউন অন্যটি থাকার জন্য। বহু চেষ্টার পর তো দাঁতের মাজন যদিও প্রথমে পাউডার হিসেবে প্রকাশ পেয়েছিল মাজনটি। আস্তে আস্তে নাম ছড়ালো ভিকোর। মাজন ছাড়িয়ে জি কে তৈরি করল প্রথম আয়ুর্বেদিক ক্রিম। যা মহিলা পুরুষ উভয়ের জন্য। দাম কম, মান ভালো উপরন্তু স্বদেশী। সদ্য মুক্ত হয়েছে দেশ ব্রিটিশদের বেড়াজাল থেকে। ফলে স্বদেশী মনোভাবের হাওয়া কিছুটা বইছিল ভারতীয়দের মধ্যে। সেই মনোভাবকে হাতিয়ার করে এগিয়ে চললেন কেশব। আস্তে আস্তে বেড়ে চলল ব্যবসা। বর্তমানে ৭০০ কোটি টাকার একটি সংস্থা এই স্বদেশী ব্র্যান্ড।

বর্তমান আধুনিক যুগেও ভিকোর চাহিদা এতটুকু কমেনি। কারণ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাজনেই আটকে নেই। নানা ধরনের প্রসাধনী জিনিস প্রয়োজনীয় জিনিস সব কিছুই তৈরি করে গেছে তাল মিলিয়ে। ভারতের অন্যতম স্বদেশী ব্র্যান্ড হিসেবে আজ এক নম্বরে।

Related posts

২০শে ডিসেম্বর: রবার্ট ক্লাইভের বাংলার গভর্নর হিসাবে নিযুক্তি এবং যা কিছু এই দিনকে স্মরণীয় করে রেখেছে

News Desk

আকাশের বুক চিরে রহস্যময় চোঁখ ধাঁধানো আলো পাঞ্জাবের পাঠানকোটে! UFO নাকি? জল্পনা!

News Desk

গভীর রাতে জোরে পার্টি চলছিল! আচমকাই প্রতিবেশী এসে যা করলো? ভাইরাল ভিডিও

News Desk