কথাতেই আছে বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ৷ আর এই পার্বণকে বজায় রাখতে ছট পুজোতেও মেতে ওঠে আপামর বাঙালী৷ আমাদের কাছে এ অজানা নয় যে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো৷ আমরা হয়তো সকলেই জানি একই রকমভাবে বিহারীদের শ্রেষ্ঠ উৎসব ছট পুজো৷ কিন্তু ছট পুজো বিহারীদের তো কি হয়েছে৷ বাঙালী তো উৎসব প্রিয়৷ তাই ছট পুজোতেও মেতে ওঠেন বাঙালী৷ তবে অনেকেই হয়তো জানেন না ছট পুজোর মাহাত্ম্য৷
দুর্গাপুজোর মতো ছট পুজোও চলে চারদিন। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য, শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজোর রীতিনীতি বেশ কঠিন। এই ছট পুজোর নানা নাম। ‘ছটি’, ‘ছট পরব’, ‘ছট পূজা’, ‘ডালা ছট’, ‘ডালা পূজা’, ‘সূর্য ষষ্ঠী’। বলা যায় সূর্যকে ধন্যবাদজ্ঞাপনের উৎসব ছট পুজো। তাই সূর্য দেবতার কাছে মানত করেন ভক্তরা। যাঁরা ব্রত রাখেন তাঁরা প্রায় চল্লিশ ঘন্টা একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্যর পর প্রসাদ খান। পুজো পার্বনের সময় আমিষ নৈব নৈব চ!
জেনে নিন ছট পুজো করলে আপনি কি কি সুফল পাবেন
ছট পুজোর উপোষ করা ব্যক্তিকে পাঁচটি ফল দান করলে সুফল পাবেন৷ বৃষ্টি না হলে প্রখর তাপে মাঠ শুকিয়ে যায়। ফলে ফসল হয় না। তাই এই পুজো করে সূর্যদেবকে তুষ্ট করা হয়৷ ফলে মাঠে ফসল ফলে। ছট পুজো করলে দুঃখ, অশান্তি কমে যায়৷ পাশাপাশি সুখ ও অর্থ লাভ হয়৷
এই পুজোর বিশেষত্ব হল বাড়ির যে কোনও সদস্য এই ব্রত করতে পারে৷ পুজোর সময় বাড়ি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হয়৷ এই পুজোর বিশেষ প্রসাদ ঠেকুয়া৷ স্ত্রীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় ছট পুজোর দিন গুলিতে গেরুয়া সিঁদুর পড়েন৷